দেশের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতের মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক চলছেই। এবার কঙ্গনার মন্তব্যের বিরোধিতা শোনা গেল ‘কিন্নর আখড়া’র সদস্যদের মুখে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি কঙ্গনা রানাওয়াত জানান, দেশে ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা আসেনি। যা এসেছিলো তা ছিলো ভিক্ষা। দেশের আসল স্বাধীনতা এসেছে ২০১৪ তে। বলা বাহুল্য কঙ্গনার বক্তব্যের উদ্দেশ্য ছিলো ২০১৪ সাধারণ নির্বাচনে বিজেপির ক্ষমতায় আসা।
মঙ্গলবার প্রয়াগরাজের ‘কিন্নর আখড়া’র প্রধান লক্ষ্মী নারায়ণ ত্রিপাঠী কঙ্গনার মন্তব্যকে ‘ভুল’ বলে জানিয়ে বলেন – কঙ্গনার অবিলম্বে দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ এবং ওই মন্তব্য প্রত্যাহার করা উচিৎ। ত্রিপাঠীর মতে, দেশের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে কঙ্গনার ওই মন্তব্য দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এবং সংবিধানের প্রতি অসম্মান।
এদিন কিন্নর আখড়ার প্রধান বলেন, আমাদের দেশের বহু স্বাধীনতা সংগ্রামী স্বাধীনতার জন্য প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন, রক্ত ঝরিয়েছেন, সত্যাগ্রহ আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন এবং জীবনের সমস্ত রকমের ত্যাগ স্বীকার করেছেন। ব্রিটিশদের দাসত্ব থেকে দেশকে মুক্ত করতে তাঁদের অবদান অনস্বীকার্য। কঙ্গনা যে মন্তব্য করেছেন তা দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতি অসম্মানসূচক।
ত্রিপাঠী আরও বলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে অথবা অনিচ্ছাকৃতভাবে – যেভাবেই এই মন্তব্য করা হোক না কেন – দেশের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে কঙ্গনার এই মন্তব্য আসলে দেশদ্রোহীতার নামান্তর। সস্তার জনপ্রিয়তা লাভের জন্য এই ধরণের মন্তব্য করার কারোরই অধিকার নেই।
তাঁর মতে, দেশকে ব্রিটিশদের হাত থেকে মুক্ত করতে কংগ্রেস, বাম, সঙ্ঘ অথবা দক্ষিণপন্থী শক্তি – প্রত্যেকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছে। দেশের স্বাধীনতায় সকলের অবদান আছে।
গণতান্ত্রিক পরিমণ্ডলে প্রত্যেকের নিজের মত প্রকাশ করার অধিকার আছে, রাজনৈতিক বক্তৃতাও দেওয়া যায়।। কিন্তু দেশের স্বাধীনতাকে ২০১৪ সালের আগের বা পরের কোনো রাজনৈতিক দলের অথবা কোনো সরকারের সঙ্গে যুক্ত করা যায় না।
কিন্নর আখড়ার প্রধান আরও বলেছেন যে ২০১৪ সাল থেকে কেন্দ্রে এবং অনেক রাজ্যে বিজেপি সরকার রয়েছে, যা হয়তো এক ইতিবাচক বিষয়। কিন্তু দেশের স্বাধীনতার পর থেকে গঠিত বেশিরভাগ সরকারের ক্ষেত্রেও একই কথা বলা যেতে পারে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।