Kangana Ranaut: সংবিধানের অসম্মান, ফেরানো হোক কঙ্গনার পদ্মশ্রী - রাষ্ট্রপতিকে চিঠি মহিলা কংগ্রেসের

কঙ্গনা রানাওয়াতের পদ্মশ্রী খেতাব প্রত্যাহারের দাবি জানালো কংগ্রেস মহিলা সেল। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে চিঠি লিখে কঙ্গনা রানাউতকে দেওয়া পদ্মশ্রী প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস মহিলা শাখা।
রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের হাত থেকে পুরস্কার নিচ্ছেন কঙ্গনা রানাওয়াত
রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের হাত থেকে পুরস্কার নিচ্ছেন কঙ্গনা রানাওয়াতছবি ট্যুইটার থেকে সংগৃহীত

কঙ্গনা রানাওয়াতের পদ্মশ্রী খেতাব প্রত্যাহারের দাবি জানালো কংগ্রেস মহিলা সেল। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে চিঠি লিখে বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতকে দেওয়া পদ্মশ্রী প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন কংগ্রেস মহিলা শাখার প্রধান।

রাষ্ট্রপতিকে লেখা চিঠিতে অল ইন্ডিয়া মহিলা কংগ্রেসের সভাপতি নেত্তা ডি সুজা জানিয়েছেন, "২০২১ পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপক কঙ্গনা রানাউত, পদ্মশ্রী পুরস্কার এবং আমাদের সংবিধানের সম্মান ও পবিত্রতা নষ্ট করেছেন। তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে জাতীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছেন এবং এর সাথে তাঁর বক্তব্য প্রকাশ্যে আইনের বিধান লঙ্ঘন করেছে"।

ডি সুজা আরও জানিয়েছেন, "আপনার কাছে বিনীত নিবেদন, পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপকের এই আচরণের নিন্দা করা উচিত এবং তাঁকে অবশ্যই পদ্ম পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া উচিত। কারণ তিনি এই পুরস্কারের মর্যাদা ও পবিত্রতা নষ্ট করেছেন। যার কাছে দেশের আইনের প্রতি কোন গুরুত্ব নেই, দেশের সংবিধানের প্রতি সম্মান নেই, পদ্মশ্রীর মতো বিশিষ্ট পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য তিনি নয়। তাই বৃহত্তর জনস্বার্থে এবং পুরস্কারের মর্যাদার জন্য দয়া করে তাঁর কাছ থেকে এই পুরস্কার প্রত্যাহারের আবেদন জানাই।"

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে যে ভিডিও ক্লিপ আছে, সেখানে অভিনেত্রীকে বলতে শোনা গেছে যে স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং স্বাধীনতা ভারতীয়রা ব্রিটিশদের কাছ থেকে "খয়রাত" (ভিক্ষা) হিসেবে পেয়েছে।

ডি সুজা বলেন, "তিনি দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অবদানকে অস্বীকার করেছেন। তাঁর মতে, ২০১৪ সালে ভারত স্বাধীনতা লাভ করেছে এবং তার আগে আমরা ব্রিটিশ শাসনের অধীনে ছিলাম।"

কঙ্গনার প্রতি ডি সুজার অভিযোগ, "তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন যে কংগ্রেস ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারতকে যে সেবা করেছে তা সম্প্রসারিত ব্রিটিশ শাসন ছাড়া আর কিছুই নয়। পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত তাঁর বক্তব্যে যে ধরণের শব্দ এবং বাক্য ব্যবহার করেছেন তা থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতি অসম্মান স্পষ্ট। তিনি স্বাধীনতা অর্জনে তাদের অবদানকে অস্বীকার করেছেন।"

কংগ্রেস নেতা আরও বলেন, কঙ্গনা সেই সমস্ত স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আত্মত্যাগকে অসম্মান করেছেন যারা ভারতের স্বাধীনতার জন্য তাদের জীবন দিয়েছেন।

ডি সুজার মতে, "দ্য প্রিভেনশন অফ ইনসাল্টস টু ন্যাশনাল অনার অ্যাক্ট, ১৯৭১ হল ভারতের সংসদের একটি আইন, যা জাতীয় পতাকা, সংবিধান, জাতীয় সঙ্গীত ইত্যাদি সহ দেশের জাতীয় প্রতীকগুলির অপমান বা অবমাননা নিষিদ্ধ করেছে৷ পদ্ম পুরস্কার বিজয়ীর কথাগুলি স্পষ্টতই সংবিধানের পবিত্রতা এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের নীতি লঙ্ঘন করেছে। তিনি এই আইনের বিধান লঙ্ঘন করেছেন।"

রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের হাত থেকে পুরস্কার নিচ্ছেন কঙ্গনা রানাওয়াত
১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীনতা পায়নি, ভিক্ষা পেয়েছিল, আসল স্বাধীনতা পেয়েছে ২০১৪ তে - কঙ্গনা

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in