'রঙ যেন মোর মর্মে লাগে, আমার সকল কর্মে লাগে' - কচিপাতার বৈঠকী আড্ডায় মাতোয়ারা বাহারপোতা

কচিপাতার অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ
কচিপাতার অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিবৃন্দনিজস্ব চিত্র

'রঙ যেন মোর মর্মে লাগে, আমার সকল কর্মে লাগে'... এই বার্তাই যেন দিয়ে গেল পূর্ব মেদিনীপুরের বাহারপোতা কচিপাতা আয়োজিত বৈঠকী আড্ডা। গত শনিবারের এই বৈঠকী আড্ডায় সাংস্কৃতিক ছন্দ ও তালে বসন্ত উৎসব উদযাপন করলো বাহারপোতা কচিপাতা।

ষড় ঋতুর শেষ ঋতু বসন্ত। শীতের জরাজীর্ণতা কাটিয়ে বসন্তে প্রকৃতি ফুল, ফল, কচিপাতা, কোকিলের কলতানে মুখরিত ও রঙিন হয়ে ওঠে।‌ প্রকৃতির এই রঙিন খুশিকে সাথে নিয়ে নিজেদের দীর্ঘ ২০ বছরের পথচলাকে আরও রঙিন করে তুলতে গত ৩ এপ্রিল এক সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করেছিল কচিপাতা।

এদিনের অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সঙ্গীত ও বসন্তের সুন্দর প্রকৃতিকে রঙ-তুলি সহযোগে ছবির খাতায় বন্দী করে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেছিল সংস্থারই অঙ্কন ও সঙ্গীত বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা। এরপর অসাধারণ কিছু কবিতা কোলাজ, সমবেত নৃত্য, যোগ-ব্যায়াম প্রদর্শনী, যন্ত্রসঙ্গীত দিয়ে অনুষ্ঠান জমজমাট করে তুলেছিলেন সংস্থার ছাত্রছাত্রী ও অতিথি শিল্পীরা। সব মিলিয়ে এক সুন্দর সন্ধ্যার সাক্ষী রইলো বাহারপোতা ও তার আশপাশের গ্রামের বাসিন্দারা।

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী দেবাশীষ চক্রবর্তী, সঙ্গীতা ঘোষাল কর, বর্ণালী দত্ত, সোনালী অট্টনায়েক, মীনাক্ষী ভট্টাচার্য, সাধনা প্রধান, শুভেন্দু দেববর্মণ, সাধনা মাইতি, সঙ্ঘামিত্রা সাঁতরা, মলয় মাইতি।। এছাড়াও বাঁশি ও গিটারের সুরে অতিথি শিল্পী, প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের কবিতা কোলাজ সন্ধ‍্যাটিকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলেছিল। সংস্থার ছাত্রছাত্রীদের একাধিক সমবেত নৃত্য দর্শকদের মন মাতিয়ে দেয়।

বসন্ত উৎসব আর আবিরে‌ রাঙানো হবে না, তা কখনো হয় নাকি? অনুষ্ঠানের শেষ লগ্নে সংস্থার ছাত্রছাত্রীরা একে অপরকে এবং অনুষ্ঠান মঞ্চের সামনে উপস্থিত দর্শকদের আবিরে রাঙিয়ে তোলে। মহামারীর প্রকোপে দীর্ঘ এক বছর গৃহবন্দী থাকার পর একটু আনন্দের ছোঁয়া পেতে এরকম অনুষ্ঠানের অপেক্ষায় সমস্ত গ্রামবাসী যে মুখিয়ে ছিলেন তা তাঁদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণেই পরিষ্কার।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ও সহায়তাকারী প্রত‍্যেককে একটি করে চারাগাছ, গোলাপ ফুল ও মাস্ক দিয়ে অভ‍্যর্থনা জানানো হয়। অনুষ্ঠান শেষ হয় সমবেত ঝুমুর নৃত্য দিয়ে।

অনুষ্ঠানের মুল ভাবনায় ও সঞ্চালক প্রসেনজিত ঘোড়াই বলেন - দীর্ঘ প্রায় ১ বছরের অতিমারীর জীবনযাত্রা কাটানোর পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করছি আমরা সকলে। এই সন্ধিক্ষণে ছাত্রছাত্রীদের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়।

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in