গোটা দেশের কাছেই এই ফলাফল যেন কিছুটা কাঙ্খিতই ছিল। পবনদেব রাজন যে প্রথম হতেই পারেন তা অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন। সেই অনুমানই সত্যি ১৫ আগস্ট রবিবার রাতে। গাইলেন 'নাদান পরিন্দে ঘর আজা…’ ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসের দিন তাঁর সুর, তাল, মূর্ছনায় মাতলেন বিচারক থেকে গোটা ভারত। ফলাফল ঘোষণা হতেই তখন চোখে জল পবনদীপের। তাঁর প্রথম হওয়ার খবরে উৎসবে মেতে উঠল পাহাড়ও। ইন্ডিয়ান আইডলের সোনালি ট্রফি এবং ২৫ লক্ষ টাকার পুরস্কারমূল্য, একটি গাড়ির চাবিও তুলে দেওয়া হয় পবনদীপের হাতে।
কিন্তু কিছুটা হতাশ বাংলা। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ-র মেয়ে অরুণিতা কাঞ্জিলাল। ৬ জন ফাইনালিস্টের তালিকায় তিনিও ছিলেন। তাই বাংলা তাঁকে নিয়ে আশাবাদী ছিলেন। আট মাস ধরে একের পর এক দুর্দান্ত পারফরম্যান্স সেই আশা বাড়িয়ে দিয়েছিল। তাঁর ‘ঘুমর’-এর তাল একই রকম আবহ তৈরি করেছিল। শেষপর্যন্ত অবশ্য দ্বিতীয় হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল অরুণিতাকে। আর এক রানার্স-আপ সায়লি কাম্বলে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ফাইনালে পৌঁছন পবনদীপ রাজন, অরুণিতা কাঞ্জিলাল, সন্মুখাপ্রিয়া, নীহাল তাউড়া, মহম্মদ দানিশ এবং সায়লি কাম্বলে।
রবিবার দুপুর ১২টা থেকে রাত ১২টা-টানা ১২ ঘণ্টা ধরে তালে, সুরে, নাচে, গানে, উৎসবে মেতে উঠেছিল ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চ। চতুর্থ হলেন মহম্মদ দানিশ, পঞ্চম হয়েছেন নিহাল, আর সবচেয়ে কম ভোট পেয়ে ষষ্ঠ স্থানে শেষ করেছেন সুপ্রিয়া। ইতিমধ্যেই অরুণিতা কাঞ্জিলালকে করণ জোহর তাঁর ছবিতে গান গাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। হিমেশ রেশমিয়া অনেককে অ্যালবাম বানানোর প্রস্তাব দিয়েছেন।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।