

ভূপেন হাজারিকার ৯৬ তম জন্মদিবসে অভিনব শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছে গুগল। ডুডলে গায়কের ছবি দিয়ে তাঁকে সম্মান জানিয়েছে গুগল। ডুডলে দেখা যাচ্ছে ভূপেনবাবু হারমোনিয়াম বাজাচ্ছেন।
বিখ্যাত গায়ক, কবি, ফিল্মমেকার এবং গীতিকার ভূপেন হাজারিকার আজ (বৃহস্পতিবার) ৯৬ তম জন্মদিন। গুগলের জন্য ভূপেন হাজারিকার ডুডল বানিয়েছেন মুম্বাইয়ের বিখ্যাত শিল্পী রুতুজা মালি। সঙ্গীতের পাশাপাশি তাঁর রাজনৈতিক জীবনও লক্ষ্যণীয়। তিনি আসাম বিধানসভায় ১৯৬৭-১৯৭২ সাল পর্যন্ত বিধায়ক ছিলেন।
ভূপেন হাজারিকার জন্ম ১৯২৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর। কিংবদন্তী এই কণ্ঠশিল্পী আসামে জন্ম গ্রহণ করেন। অসমীয়া চলচ্চিত্রগুলিতে সঙ্গীত পরিবেশনের পর তাঁর নাম চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীকালে বাংলা ও হিন্দি ভাষায় গান গেয়ে ভারত এবং বাংলাদেশে অসম্ভব জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
তিনি ১৯৪২ সালে গুয়াহাটির কটন কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট আর্টস নিয়ে পড়াশোনা করেন। ১৯৪৬ সালে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে MA পাস করেন। ১৯৫২ সালে নিউ ইয়র্কের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে মাস কমিউনিকেশনে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তার গবেষণার বিষয় ছিল "প্রাপ্তবয়স্কদের শিক্ষায় শ্রবণ-দর্শন পদ্ধতি ব্যবহার করে ভারতের মৌলিক শিক্ষাপদ্ধতি প্রস্তুতি-সংক্রান্ত প্রস্তাব"।
ভূপেন হাজারিকার কয়েকটি বিখ্যাত গানগুলি হল আজ জীবন খুঁজে পাবি, আমি এক যাযাবর, গঙ্গা আমার মা, প্রতিধ্বনি শুনি, বিস্তীর্ণ দুপারে, মানুষ মানুষের জন্যে, সাগর সঙ্গমে, হে দোলা হে দোলা, চোখ ছলছল করে ইত্যাদি। তাঁর গানে মূলত ব্রহ্মপুত্র নদের ধারে বসবাসকারী গরীব মানুষের কথা উঠে এসেছে।
নিজের ছয় দশকের সঙ্গীত জীবনে একাধিক সম্মানে ভূষিত হয়েছেন ভূপেন হাজারিকা। তিনি ১৯৭৭ সালে পদ্মশ্রী পান। ১৯৯২ সালে পান দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার। সঙ্গীত নাটক একাডেমি ফেলোশিপ পান ২০০৮ সালে। ২০০৯ সালে ভূপেন হাজারিকা অসম রত্ন গ্রহণ করেন। ২০১১ সালে তাঁকে মুক্তি যুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা পুরস্কার দেওয়া হয়। ২০১২ সালে পদ্মবিভূষণ (মরণোত্তর) এবং ২০১৯ সালে ভারতরত্ন (মরণোত্তর) দেওয়া হয় তাঁকে। জাপানে এশিয়া প্যাসিফিক আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে 'রুদালী' ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালকের পুরস্কার পান তিনি। তিনিই প্রথম ভারতীয় হিসেবে এই পুরস্কার পান ১৯৯৩ সালে। কিংবদন্তী গায়কের মৃত্যু হয় ২০১১ সালের ৫ নভেম্বর।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন