৩রা মার্চ, কলকাতা- রাজ্য রাজনীতিতে বেশ কিছুদিন থেকেই দলবদলের খেলা শুরু হয়েছে। কেউ দলীয় ঝান্ডা বদল করছেন, তো কেউ নতুন করে রাজনীতির আঙিনায় পা রেখেছেন। তাদের মধ্যে যেমন হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রী আছেন, তেমনই টলিজগতের নামকরা শিল্পীরাও আছেন। তবে তাঁদের অবস্থান শুধু ঘাসফুল ও পদ্মফুল শিবিরেই। কিন্তু কিছু শিল্পী, অভিনেতা যাঁরা কিনা চিরকালীন লাল শিবিরের লোক বলেই পরিচিত, তাঁরা কিন্তু আজও কাস্তে-হাতুড়ি-তারার সঙ্গেই আছেন। সিপিআইএম ক্ষমতায় না থাকলেও তাঁরা আস্থা রেখেছেন বামপন্থাতেই। তাঁদের মধ্যে অন্যতম চলচ্চিত্র পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়।
নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে ফেসবুকে তৃণমূল-বিজেপিকে কটাক্ষ করে লিখেছেন- “কোকেন একাদশে মনিরুল ইসলাম আছেন। ভেটেরান প্লেয়ার। কয়লা একাদশে ত্বহা সিদ্দিকীও আছেন। তিনিও ভেটেরান। দুজনেই আক্রমণাত্মক খেলেন। দরকারে ফাউল করেন। ময়দানের নীতিপুলিশ রেফারীর চোখ এড়িয়ে যায়। দু দলেরই ক্যাপ্টেনরা চড়া রোদে দরকার মতো ফেজ টুপি পরেন, মাথায় কাপড় দেন। রিসার্ভ বেঞ্চে বসা তাঁদের ইন্টেলেকচুয়াল খেলোয়াড়রা ফ্রি কিক পেলেই উল্লাস ধরে রাখতে পারেন না ; পেনাল্টি পেলে গণমাধ্যমের নাল ঝোল গড়িয়ে পড়ে । শুধু মাঝে মধ্যে আই লীগের আগে একটু আধটু যা দল বদল করেন ! তাঁদের ওপর ভরসা রাখুন - ময়দানের ঘাসজমি তাঁরা নিশ্চয়ই ঠিক সামলে নেবেন। আপনারাও করে খাবেন।”
তিনি আরও লিখেছেন-
“ হঠাৎ দূরবীন দিয়ে দেখতে পাওয়া 'খেলায় অপ্রাসঙ্গিক', 'টিকি দাড়ি নামাবলী বা ফেজটুপি বিহীন' কিছু পক্ককেশ শীর্ণকায় জোড়াতাপ্পি দেওয়া দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে ধারাভাষ্যকারদের এতো আলোচনা কিসের ? ব্যাথা করছে ?
প্রসঙ্গত- বামেদের ডাকা ২৮শে ফেব্রুয়ারির ব্রিগেডে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন। শুধু উপস্থিতই ছিলেন না, রীতিমতো প্রচার করেছেন নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে। ব্রিগেডে “ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট” যোগ দিতেই রাজ্য রাজনীতিতে নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে। আলোচনা কেন্দ্রবিন্দু ব্রিগেড ও আব্বাস সিদ্দিকী। বাম- কংগ্রেসের সাথে আব্বাস সিদ্দিকীর এই বোঝাপড়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল-বিজেপি উভয়েই। ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট কতটা সেক্যুলার সেই বিতর্ক নেট দুনিয়ায়।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।