Mahesh Babu: রিয়েল এস্টেট সংস্থার অর্থ পাচার কাণ্ডে অভিনেতা মহেশ বাবুকে তলব ইডির

People's Reporter: সূত্রের খবর, তদন্তের জন্য অভিনেতাকে তলব করেছে ইডি। আগামী ২৮ এপ্রিল হায়দ্রাবাদে ফেডারেল তদন্ত সংস্থার অফিসে হাজিরা দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
মহেশ বাবু
মহেশ বাবুছবি - সংগৃহীত
Published on

হায়দ্রাবাদের এক রিয়েল এস্টেট সংস্থার অর্থ পাচার কাণ্ডে এবার নাম জড়াল তেলেগু সুপারস্টার মহেশ বাবুর। সূত্রের খবর, তদন্তের জন্য অভিনেতাকে তলব করেছে ইডি। আগামী ২৮ এপ্রিল হায়দ্রাবাদে ফেডারেল তদন্ত সংস্থার অফিসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে অভিনেতাকে।

জানা গেছে, একই জমি একাধিক ক্রেতার কাছে বিক্রি করেছেন অভিযুক্ত রিয়েল এস্টেট সংস্থার মালিক কে সতীশ চন্দ্র গুপ্ত এবং আরও একটি সংস্থার মালিক নরেন্দ্র সুরানা। সেই অর্থই নানা উপায়ে পাচার করেছেন তাঁরা। তেলঙ্গানা পুলিশের দায়ের করা এফআইআরের ভিত্তিতে ইডি মামলাটি তদন্ত করছে।

এই অভিযোগের ভিত্তিতে হায়দ্রাবাদের একাধিক স্থানে ইডি অভিযান চালানোর প্রায় এক সপ্তাহ পরে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। পিএমএলএ-র অধীনে চলা তদন্তে সময় মতো রিয়েল এস্টেট প্রকল্পগুলি সরবরাহ না করার অভিযোগ উঠেছে। সাই সূর্য ডেভেলপারসের মালিক কে সতীশ চন্দ্র গুপ্ত 'গ্রিন মিডোস' নামের একটি প্রকল্পের ডেলিভারি ডিফল্টের অভিযোগে পুলিশি তদন্তের মুখোমুখি হয়েছেন। আর সেই প্রকল্পের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন মহেশ বাবু। ফলে জড়িয়েছে তাঁর নামও।

যদিও ইডি কর্মকর্তাদের অনুমান, মহেশ বাবু সরাসরি এই জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত না-ও হতে পারেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, মহেশ বাবু সংস্থার ব্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হওয়ায় বহু সাধারণ মানুষ তাঁর উপর ভরসা করে এই সংস্থায় অর্থ বিনিয়োগ করেছেন। সেই সূত্রে প্রাপ্ত অর্থ পাচার করা অর্থের অংশ কি না, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সূত্রের খবর, সংস্থার প্রচারে অংশ নিয়ে মোট ৫.৯ কোটি টাকা পেয়েছেন অভিনেতা। এর মধ্যে ৩.৫ কোটি টাকা নগদ নিয়েছেন তিনি। বাকি ২.৫ কোটি পেয়েছেন রিয়্যাল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট-এর মাধ্যমে। সেটা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই মহেশ বাবুকে তলব করা হয়েছে।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in