
মিঠি নদী পলি অপসারণ কেলেঙ্কারিতে ৬৫ কোটি টাকা আর্থিক তছরূপের মামলায় নাম জড়াল মডেল অভিনেতা ডিনো মোরিয়ার। শুক্রবার ডিনো মোরিয়ার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। সম্প্রতি এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিনো মোরিয়াকে তলব করেছিল মুম্বাই পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ দমন শাখা। যদিও এ প্রসঙ্গে এখনও মুখ খোলেননি অভিনেতা।
মিঠি নদী পলি অপসারণ কেলেঙ্কারিতে মুম্বাইয়ের ১৫ টি জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। সেই তালিকায় ছিল ডিনো মোরিয়ার বাড়িও। মুম্বাইয়ের মিঠি নদী থেকে পলি তুলে বন্যা আটকাতে চেষ্টা করছিল প্রশাসন। আর তাতেই উঠে আসে কোটি কোটি টাকার কেলেঙ্কারি। অভিযোগ, নদী থেকে পলি তোলার জন্য সরকার যে টাকা বরাদ্দ করেছিল, তা সঠিক জায়গায় খরচ হয়নি। তদন্তকারীদের সন্দেহের তালিকায় থাকা দুই মিডলম্যানের সঙ্গে ডিনোর যোগসূত্রের অভিযোগ সামনে এসেছে।
জানা গিয়েছে, মুম্বাইয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী হল মিঠি। মুম্বাইয়ের বন্যা প্রতিরোধে এই নদীখাত পরিস্কারের জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছিল প্রশাসন। আর সেখানেই উঠে আসে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি। যার মধ্যে অতিরিক্ত দরপত্র, জাল নথি পেশের মতো গরমিল রয়েছে। এমনকি তহবিল তছরূপের অভিযোগও রয়েছে।
আরও জানা গেছে, তদন্তে ঠিকাদারেরা ভুয়ো স্লিপ এবং লগবুক জমা দিয়ে টাকা নয়ছয় করেছে বলে অভিযোগ উঠে এসেছে। এছাড়া ৩ কোটি টাকার যন্ত্রপাতিও ভাড়া করা হয়েছিল বলে খবর। অর্থাৎ নদীর পলি অপসারণের জন্য প্রদান করা অর্থ ওই খাতে কখনও খরচ হয়নি।
মিঠি নদীর পলি অপসারণ এবং সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রায় ১১০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরূপ হয়েছে। এর ফলে সরকারি তহবিলের বিশাল ক্ষতির পাশাপাশি মুম্বাইয়ের মতো শহরে আসন্ন বর্ষায় প্রস্তুতিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কারণ মিঠি নদীর নিচু এলাকায় বৃষ্টির জল নিষ্কাশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যয় সাপেক্ষ।
এই কেলেঙ্কারি সামনে আসার পর তদন্তে নামে ইডি। তদন্তের স্বার্থেই অভিনেতা ডিনো মোরিয়াকে তলব করেছে মুম্বাইয়ের অপরাধ দমন শাখা। যদিও অভিনেতা এই দুর্নীতির সঙ্গে কীভাবে জড়িত, তা প্রকাশ্যে আসে নি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন