আরও বিপাকে মিঠুন চক্রবর্তী। উস্কানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার তদন্তে পুলিশকে সবরকম সহযোগিতা করতে হবে তাঁকে। এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। পুলিশকে তাঁর ইমেইল আইডি দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
উস্কানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে যে মামলা দায়ের হয়েছে তা খারিজের আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। সেই মামলার শুনানিতে মিঠুনের আর্জি খারিজ করে দিয়ে পাল্টা তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দেয় আদালত। আদালত বলে, তদন্তে কলকাতা পুলিশকে সবরকম সহযোগিতা করতে হবে মিঠুন চক্রবর্তীকে। শুনানির দিন সশরীরে হাজির না থাকলেও চলবে তবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখতে হবে অভিনেতাকে। ভিডিও কনফারেন্সে যাতে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায় সেজন্য অভিনেতাকে তাঁর মেইল আইডি দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আগামী শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত।
প্রসঙ্গত, গত ৭ মার্চ ব্রিগেডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমাবেশে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। সভামঞ্চেই নিজের জনপ্রিয় ছবির সংলাপ আউরে তিনি বলেন, "আমি জাত গোখরো। এক ছোবলেই ছবি।" এরপর একাধিক জনসভায় নিজের ছবির জনপ্রিয় সংলাপগুলো বলেছেন তিনি। যেমন - "মারবো এখানে, লাশ পড়বে শ্মশানে।"
গত ৬ মে মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্য দেওয়ার অভিযোগে মানিকতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করে উত্তর কলকাতা যুব তৃণমূল। শাসকদলের অভিযোগ, ভোট প্রচারের সময় মিঠুন চক্রবর্তীর এইসব মন্তব্য নির্বাচন পরবর্তী হিংসাতে ইন্ধন যুগিয়েছে। একজন তারকা হিসেবে তাঁর এই মন্তব্যকে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
মিঠুন তাঁর আবেদনে জানিয়েছিলেন, ভোট প্রচারের সময় তিনি যা বলেছিলেন সেগুলো তাঁর সিনেমার সংলাপ মাত্র। এর সাথে নির্বাচন পরবর্তী যে ঘটনা ঘটেছে তার কোনো সম্পর্ক নেই। তাই তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অভিযোগ খারিজ করা হোক।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।