'ভগবান অউর খোদা' - দেশজুড়ে বাড়তে থাকা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার মাঝে ভাইরাল মনোজ বাজপেয়ীর পুরনো কবিতা

বর্তমান পরিস্থিতিতে আমজনতা যেভাবে এই পুরনো ভিডিওটি শেয়ার করে সম্প্রীতির বার্তা দিচ্ছেন তা দেখে আপ্লুত কবিতাটির লেখক ফ্লিমমেকার মিলাপ জাভেরি।
'ভগবান অউর খোদা' কবিতার পোস্টার
'ভগবান অউর খোদা' কবিতার পোস্টারছবি সৌজন্যে ইউটিউব
Published on

দেশে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ ক্রমশ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে ভাইরাল হলো বিখ্যাত অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ীর আবৃত্তি করা ২০২০ সালের একটি কবিতা, যেখানে তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমজনতা যেভাবে এই পুরনো ভিডিওটি শেয়ার করে সম্প্রীতির বার্তা দিচ্ছেন তা দেখে আপ্লুত কবিতাটির লেখক ফ্লিমমেকার মিলাপ জাভেরি।

'ভগবান অউর খোদা' নামের দুই মিনিটের এই কবিতার মূল বক্তব্য - মন্দিরে হাতজোড় করে প্রণাম করো বা মসজিদে দোয়া - কোনো পার্থক্য নেই, আমরা সবাই এক। ভিডিওতে মনোজ বাজপেয়ী হিন্দিতে বলছেন, "ভগবান অউর খোদা আপস মে বাত কার রাহে থে, মন্দির অউর মসজিদ কে বিচ চৌরাহে পর মুলাকাত কর রাহে থে, কি হাত জোড়ে হুয়ে হো ইয়া দুয়া মে উঠে, কোই ফারাক নেহি পড়তা হ্যায়...।" এর বাংলা তর্জমা করলে হয় - ভগবান এবং খোদা একে অপরের সাথে কথা বলেন, মন্দির এবং মসজিদের মাঝে থাকা চৌরাস্তায় দেখা করেন। আপনি হাত জোড় করে প্রার্থনা করুন অথবা দুয়া চান, এতে কোনো পার্থক্য নেই।

ঘৃণ্য মন্তব্যকারীদের বিরুদ্ধেও কবিতায় আওয়াজ তোলা হয়েছে। বলা হয়েছে, "ইনসান কো কিউ নেহি আতি হ্যায় শরম, যব ও বন্দুক দিখা কর পুছতা হ্যায় কী কেয়া তেরা ধরম হ্যায়।"

২০২০ সালের মে মাসে দেশে লকডাউন চলাকালীন এই ভিডিওটি প্রকাশ করেছিলেন মিলাপ জাভেরি। নিজের কণ্ঠস্বরকে অসম্ভব দক্ষতার সাথে ব্যবহার করে কবিতার প্রতিটি লাইনকে প্রানবন্ত করে তুলেছেন মনোজ বাজপেয়ী। ২ বছর পর মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, দিল্লি, কর্ণাটক, রাজস্থান সহ একাধিক রাজ্যে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের পর সম্প্রীতির বার্তা দিতে এই কবিতাটি নিজের টুইটারে ফের শেয়ার করেছিলেন মিলাপ জাভেরি। মুহূর্তে তা ভাইরাল হয়ে যায়। এই প্রসঙ্গে এক সংবাদসংস্থাকে জাভেরি জানিয়েছেন, "এই কবিতাটিকে আবার এতটা প্রাসঙ্গিক হতে দেখতে খুব ভালো লাগছে। হিন্দু এবং মুসলিম দুই ধর্মের মানুষরা শান্তিতে থাকুক - কবিতাতে এই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। মানবিকতা নিয়ে ইতিবাচক বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।"

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in