রথযাত্রার দিন অভিনব প্রতিবাদে সামিল হলেন পশ্চিমবঙ্গ যাত্রা সম্মেলনের সদস্যরা। অতিমারি এবং পেট্রোপণ্যের ভয়াবহ মূল্যবৃদ্ধির জেরে যাত্রাশিল্পের ভয়াবহ দুরবস্থার কথা সামনে আনতে এদিন রবীন্দ্র সরণীতে রাস্তায় বসে মাছ বিক্রি করে এদিন প্রতীকী প্রতিবাদে সামিল হন সংস্থার সদস্যরা।
সংগঠনের সভাপতি সমীর সেনের দাবি পেট্রো পণ্যের দাম কমাতে বিকল্প কোনো ব্যবস্থা করা হোক। নইলে আগামী দিনে যাত্রা শিল্পীদের এভাবেই রাস্তায় বসে মাছ বিক্রি করতে হবে। তাই এদিন মাছ বিক্রি করে প্রতিবাদ জানানো হল।
প্রসঙ্গত, যাত্রা শিল্প মানেই মাটির টান, মাঠের টান। গ্রাম বাংলার এক ঐতিহ্যবাহী পরম্পরা যাত্রা পালা। আর সেই যাত্রা পালাই এখন অস্তিত্ব সংকটে। আজ রথ যাত্রা। এই রথযাত্রা উপলক্ষে আগে প্রতি বছর যাত্রা পাড়ায় হৈ হৈ রব উঠতো। পুজো পাঠ, নতুন পালার বুকিং, আর্টিস্টদের সই সাবুদ আরো কত কিছু থাকতো দিন ভর। কিন্তু এবারে করোনা আবহে নেই কোনো আড়ম্বর, নেই কোনো আয়োজন।
এদিনও নিয়ম মেনে নমঃ নমঃ করে কেউ কেউ পূজার্চনা সারলেও আপাতত আশার আলো দেখছেন না কেউই। এর মধ্যেই আবার পেট্রো পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি যাত্রা শিল্পী থেকে প্রযোজক, আয়োজক সকলের কাছেই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ বিশেষত গ্রাম বাঙলাতেই যাত্রা শিল্পের পসার ও প্রসার। তাই এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে যেতে গেলে গাড়ির প্রয়োজন। আর পেট্রোল ডিজেল ছাড়া গাড়ি চলে না। পেট্রোল ডিজেলের দাম যেভাবে বেড়েছে তাতে প্রতি শোয়ে আনুমানিক ৫ থেকে আট হাজার টাকা বেশি খরচ হবে। কিন্তু অতিমারির জেরে যাত্রা কোম্পানিগুলোর কোমর একেবারে ভেঙে গিয়েছে। এই আর্থিক বোঝা নতুন করে বহন করার ক্ষমতা নেই।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।