করোনা আবহেই বিরজু মহারাজ সহ ২৭ জন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বকে ঘরছাড়ার নোটিস পাঠাল কেন্দ্র

বিরজু মহারাজ
বিরজু মহারাজ ফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

করোনা আবহের মধ্যেই ঘরছাড়ার নোটিস পেয়ে দিশেহারা বিরজু মহারাজ। প্রবাদপ্রতিম কত্থক শিল্পী বিরজু মহারাজকে বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। এই মর্মে একটি নোটিশ পাঠানো হয়েছে তাঁকে।বিরজু মহারাজের পাশাপাশি চিত্রশিল্পী যতীন দাস, সন্তুরবাদক ভজন সোপোরি, মোহিনীঅট্টম শিল্পী ভারতী শিবাজী-সহ মোট ২৭ জন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বকে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে নোটিস দিয়ে অন্য বাড়ি দেখে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় সরকারের ‘এমিনেন্ট আর্টিস্ট কোটা’য় এই সকল শিল্পীরা দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি পেয়েছিলেন। মাসিক ‘লাইসেন্স ফি’-এর বিনিময়ে তাঁরা এই বাড়িগুলিতে বসবাস করছেন। কুড়ি-তিরিশ বছরের বেশি সময় ধরে এখান থেকে কাজ করে গিয়েছেন তাঁরা। কেন্দ্রের দাবি তাঁদের বসবাসের মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে। এই সময়সীমা আর বাড়ানো হবে না বলে জানানো হয়েছে।

কিন্তু করোনা আবহের মধ্যেই এই ধরনের নির্দেশে বিপাকে পড়েছেন শিল্পীরা। এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে চিঠি দিয়েছেন বিরজু মহারাজ। যাতে এই পরিস্থিতিতে তাঁদের এত বছরের বাড়ি ছাড়তে না হয় তা বিবেচনার করার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

যে ২৭ জন শিল্পীকে বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে সব থেকে বেশি বয়স বিরজু মহারাজের, ৮৩ বছর। শাহজাহান রোডে ১৯৭৮ সাল থেকে বসবাস করছেন বিরজু মহারাজ। অতিমারির প্রবল প্রকোপের মধ্যে বাড়ি খোঁজাও অত্যন্ত সমস্যার। এমন আশঙ্কার কথা শোনা গেল তাঁর গলায়। যাঁরা এই ধরনের নোটিশ পাঠিয়েছেন তাঁদের সমস্তদিক বিবেচনা করা উচিৎ ছিল বলে মনে করেন তিনি।

১৯৮৮ সাল থেকে এশিয়াড ভিলেজের বাড়িতে থাকা ক্ষুব্ধ যতীন দাস বলেন, এই পরিস্থিতিতে রাতারাতি যাব কোথায়? বিনা পারিশ্রমিকে সরকারের শিল্প-সংস্কৃতি সংক্রান্ত বিভিন্ন কমিটিতে কাজ করি। আজ আমাদের এ ভাবে বিপদে ফেলে দেওয়া হল!

উল্লেখ্য, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে অন‍্য বাড়িতে চলে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু দিল্লিতে এই মুহূর্তে করোনা পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। এই অতিমারীর সময় বাড়িছাড়া হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন শিল্পীরা।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in