হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে "দায়িত্বজ্ঞানহীন, অবমাননাকর মন্তব্য" করায় টাইমস নাও ও রিপাবলিক টিভির বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছে চারটি বলিউড সংস্থা ও ৩৪টি বড় বড় প্রোডাকশন হাউস। বলিউডের এই পদক্ষেপকে সমস্ত সেলিব্রিটিরা স্বাগত জানালেও ক্ষুব্ধ অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। বলিউডকে ড্রাগের নর্দমা বলে কটাক্ষ করে ট্যুইটারে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি।
ট্যুইটারে বলিউডের 'কুইন' বলিউডের বিরুদ্ধে লেখেন, "বুলিউড ড্রাগ, শোষণ, নেপোটিজম এবং জিহাদের নর্দমা। এর ঢাকনা বন্ধ রয়েছে। এই নর্দমা পরিষ্কার করার পরিবর্তে #BollywoodStrikesBack আমার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করেছে। যতদিন আমি বেঁচে আছি ততদিন আপনাদের সকলের মুখোশ খুলে যাব।"
এরপর একাধিক ট্যুইটে বলিউডের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন কঙ্গনা। তিনি লেখেন, "বড় বড় হিরোরা কেবল মহিলাদেরই ব্যবহার করেন না, তাঁরা যুবতী মেয়েদেরও শোষণ করেন। তাঁরা সুশান্ত সিং রাজপুতের মতো তরুণ ব্যক্তিদের আসতে দিতে চাননা। ৫০ বছর বয়সেও তাঁরা স্কুল-বাচ্চাদের মতো খেলতে চান। তাঁরা কখনো কারো হয়ে কথা বলেন না, এমনকি তাঁদের চোখের সামনে অন্যায় করা হলেও তার বিরুদ্ধে কিছু বলেন না তাঁরা।"
পরের ট্যুইটে তিনি লেখেন, "ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির একটি অলিখিত আইন আছে, "তুমি আমার কেচ্ছা কাহিনী গোপন রাখো, আমি তোমারটা গোপন রাখব।" একে অপরের প্রতি আনুগত্যই তাঁদের একমাত্র ভিত্তি। আমি যখন থেকে জন্মেছি তখন থেকেই দেখছি মুষ্টিমেয় কয়েকজন পুরুষদের হাতেই চলচ্চিত্র শিল্পের পুরোটা রয়েছে। কবে এর পরিবর্তন হবে?"
কঙ্গনার এই ট্যুইটগুলির কমেন্টে পাল্টা অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নেটিজেনদের একাংশ। তাঁর এই ট্যুইট নিয়ে একাধিক মিম তৈরি হয়েছে। নেটিজেনদের একাংশের মতে, লাইমলাইটে থাকার জন্য এরকম মন্তব্য করছেন কঙ্গনা রানাওয়াত। শিরোনাম থেকে হারিয়ে যাওয়ার ভয় পান তিনি।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।