

প্রয়াত হলেন প্রবীণ চলচ্চিত্রাভিনেতা জগদীপ। যুগান্তকারী শোলে ছবিতে ‘সুরমা ভোপালী’ নামে যিনি রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে উঠেছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৮১ বছর। ১৯৫১ সাল থেকে ২০১২ – এক দীর্ঘ কর্মময় জীবনের ইতি ঘটলো ৮ জুলাই, ২০২০। বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় তিনি বান্দ্রায় নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি বিভিন্ন বয়স জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন বলে তাঁর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
শিশুশিল্পী হিসেবে বি আর চোপড়ার আফসানা চলচ্চিত্রে তিনি প্রথম অভিনয় করেন। পরে শিশুশিল্পী হিসেবেই ‘আব দিল্লি দূর নহী’ ছবিতে অভিনয় করেন সৈয়দ ইস্তিয়াক জাফরি। পরবর্তী সময়ে যিনি জগদীপ নামে পরিচিত হয়ে ওঠেন। অভিনয় করেন কে এ আব্বাসের ‘মুন্না’, বিমল রায়ের ‘দো বিঘা জমিন’, গুরু দত্তের ‘আর পার’ প্রভৃতি ছবিতে। চিত্রতারকা জাভেদ জাফরি এবং টিভি পরিচালক নাভেদ জাফরি তাঁর দুই সন্তান। তাঁর মেয়ের নাম মুসকান জাফরি।
নিজের অভিনয় জীবনে ৪০০-র বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন জগদীপ। তাঁর শেষ ছবি ‘গলি গলি চোর হ্যায়’। যে ছবি মুক্তি পেয়েছিলো ২০১২ সালে। যদিও এভিএম-এর ‘হাম পঞ্ছী এক ডাল কে’ এবং ১৯৭৫ সালের শোলে চলচ্চিত্রই তাঁর জীবনের মাইলস্টোন। যে চলচ্চিত্র তাঁকে দেশজোড়া খ্যাতি এনে দিয়েছিলো। ১৯৬৮ সালে ‘ব্রহ্মচারী’ ছবি থেকেই তিনি একজন কমেডিয়ান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ‘পুরানা মন্দির’ ছবিতেও তিনি সাড়া জাগানো অভিনয় করেন।
১৯৩৯ সালের ২৯ মার্চ জগদীপ জন্মগ্রহণ করেন। এদিন প্রবীণ এই অভিনেতার মৃত্যুর পর শোক প্রকাশ করেছেন অনিল কাপুর এবং অজয় দেবগণ।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন