মানুষের আবেগকে নিপূণভাবে কাজে লাগাচ্ছে। লাদাখে চীন-ভারত সীমান্ত ইস্যু নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও শাসকদলের নেতাদের এভাবেই সরাসরি আক্রমণ করলেন অভিনেতা তথা রাজনীতিবিদ কমল হাসান।
শুক্রবার এই ইস্যু নিয়ে ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছিলেন ভারতের সীমানায় কোনো চীনা সেনা প্রবেশ করেনি। এক ইঞ্চি জমিও কেউ নেয়নি। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরই একাধিক প্রশ্ন উঠে দেশজুড়ে। এবার এই ইস্যুতে সরকারের তীব্র সমালোচনা করলেন মাক্কাল নিধি মায়াম দলের প্রধান।
এক বিবৃতিতে তিনি লেখেন, "এই ধরনের মিথ্যে বিবৃতির সাহায্যে মানুষের আবেগকে নিপূণভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সমর্থকদের আমি আন্তরিকভাবে অনুরোধ করছি আপনারা এটি করা বন্ধ করুন।"
সেনাবাহিনীর মন্তব্য ও প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য সম্পূর্ণ আলাদা, সেইদিকে ইঙ্গিত করে তিনি আরও বলেন, "এই প্রশ্নকে দেশবিরোধীর তকমা লাগিয়ে দেওয়া দিলে চলবে না। প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার অধিকার গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং সত্যিটা না জানা পর্যন্ত প্রশ্ন করেই যাব আমরা।"
বিবৃতিতে তিনি লেখেন, "আমরা জানি কিছু তথ্যকে ক্লাসিফাইড করা হবে কিন্তু 'সেনাবাহিনীকে সন্দেহ করবেন না', 'দেশদ্রোহী মন্তব্য করবেন না' এরকম বলার থেকে সত্যিটা জানিয়ে মানুষের সাথে আরো ভালো সম্পর্ক স্থাপন করা যেত। আমাদের আরো স্বচ্ছতা আনতে হবে।"
এর আগে সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি ও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করেছেন। সর্বদলীয় বৈঠকের পরই নিজের ট্যুইটারে সীতারাম ইয়েচুরি লেখেন, "এর অর্থ কোনো সংঘর্ষ হয়নি? তাহলে কেন আমাদের সাহসী সৈন্যদের প্রাণ দিতে হল? তাহলে কেন এই সর্বদলীয় বৈঠক?" রাহুল গান্ধী এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করে বলেন, "ভারতীয় ভূখন্ডের বিনিময়ে চীনা আগ্রাসনের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। যদি ওই জায়গাটি চীনের ছিল তাহলে: ১) আমাদের সেনাদের কেন হত্যা করা হয়েছিল? ২) তাদের কোথায় হত্যা করা হয়েছিল?"
প্রবল বিতর্কের মুখে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর। পিএমও-র থেকে ট্যুইট করে জানানো হয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।