"নেহি হ্যায় ইনসান তো মার দো আভি, দে দো ফরমান"

অভিবাসী শ্রমিকদের দুর্দশা তুলে ধরলেন কিরীট খুরানা, তাপসী পান্নু
প্রবাসী কার্টুন ভিডিও থেকে সংগ্রহীত
প্রবাসী কার্টুন ভিডিও থেকে সংগ্রহীত
Published on

"হাম তো বস্ প্রবাসী হ্যায়, ক্যায়া ইস দেশ কা বাসী হ্যায়? আগর নেহি হ্যায় ইনসান তো মার দো আভি, দে দো ফরমান।" লকডাউন চলাকালীন গত আড়াই মাস অভিবাসী শ্রমিকরা যে ভয়াবহ অবস্থায় জীবন কাটিয়েছেন তা বর্ণণা করতে এই কয়েকটি লাইন ব্যবহার করেছেন বিশিষ্ট চিত্রনির্মাতা ও পরিচালক কিরীট খুরানা। শ্রমিকদের অসহায় পরিস্থিতি নিয়ে তৈরি করা একটি কার্টুনের মাধ্যমে অডিও-ভিডিওতে এই লাইনগুলো ব‍্যবহার করেছেন তিনি। ভিডিওতে সম্পূর্ণ আবৃত্তিটি করেছেন বলিউড অভিনেত্রী তাপসী পান্নু। যেখানে অভিবাসী শ্রমিকদের নিয়ে একটি কবিতা আবৃত্তি করেছেন তিনি।

গত ২৫ মার্চ মাত্র চার ঘন্টার নোটিশে আচমকা দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করায় কোটি কোটি অভিবাসী শ্রমিক চরম দুর্দশায় পড়ে। কাজ ও আশ্রয় হারিয়ে ক্ষুধার তাড়নায় নিজেদের বাড়ি ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল শ্রমিকরা। ভিডিওটিতে গত তিন মাস ধরে ঘটে যাওয়া একাধিক বড় বড় ঘটনার স্কেচ তুলে ধরা হয়েছে। রেলপথে অভিবাসী শ্রমিকদের মারা যাওয়া থেকে বিহারের গ্রামে যাওয়ার জন্য সাইকেল নিয়ে কিশোরী। অভিবাসী শ্রমিকদের নিদারুণ কষ্টের চিত্র ফুটে উঠেছে ভিডিওটিতে। ভিডিওটি ট্যুইট করে তাপসী পান্নু লেখেন, "এই ছবিগুলো সম্ভবত আমাদের মন থেকে কখনো যাবেনা। এই লাইনগুলো দীর্ঘদিন ধরে আমাদের মাথায় প্রতিধ্বনিত হবে। এই মহামারী ভারতের জন্য কেবল একটি ভাইরাল সংক্রমণ নয়, তার থেকেও অনেক খারাপ কিছু একটা।"

ভিডিওটিতে তাপসীর গলায় শোনা হিন্দি কবিতাটির বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, "আমরা তো অভিবাসী, আমরা কি দেশের মানুষ? আমরা মানুষ না হলে আমাদের মেরে ফেলুন। খাওয়ার জন্য তো কিছুই মেলেনি। খিদে পেলে লাঠি জুটেছে। হাজার মাইল হেঁটেছি আমরা। কিছুজন সাইকেলে, কিছু পায়ে হেঁটে। কেউ খিদের জ্বালায় মারা গেছে, তো কেউ রোদে, ক্লান্তিতে। তবে আমাদের মনের জোর অটুট ছিলো। আমাদের বাসে, ট্রেনে করে বাড়ি পাঠানো হয়েছিলো কিন্তু আমরা অনেকেই পথ হারিয়ে প্রাণ হারিয়েছি। এখানে মানুষের থেকে প্রতিমার দাম বেশি। এখানে আচ্ছে দিন আনার স্বপ্ন দেখানো হয়, কিন্তু মানুষের খিদে মেটানো হয়না।"

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in