

দু-এক দিন ছাড়া ছাড়াই কখনও পথ দুর্ঘটনায়, কখনও মালগাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে শ্রমিকদের মরতে হচ্ছে। লকডাউন পরিস্থিতিতে মরিয়া হয়ে গিয়েই নিজ নিজ রাজ্যে ফিরতে মরিয়া হয়ে গিয়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে।
পরিযায়ী শ্রমিকদের এই পরিস্থিতি নিয়ে সোনু বলেছেন, ‘এখন এসি ঘরে বসে ট্যুইট করার সময় নয়। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য দুঃখ করে ট্যুইট করলেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। রাস্তায় যাঁরা হেঁটে চলেছেন আমাদের তাঁদের একজন হয়ে উঠতে হবে। না হলে তাঁরা বিশ্বাস কেন করবেন যে কেউ একজন তাঁদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন - তাই আমি পরিযায়ী শ্রমিকদের বিভিন্ন রাজ্যে ফেরানোর জন্য কাজ করছি। প্রতিদিন আমি অসংখ্য মেসেজ, ই–মেল পাচ্ছি, অনেকে বাড়ি ফিরতে চাইছেন। আমি দিনরাত এক করে তাঁদের হয়ে কাজ করে চলেছি যাতে তাঁরা নিরাপদে বাড়িতে পৌঁছে যেতে পারেন। লকডাউনের মধ্যে এটাই আমার একমাত্র কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এইটুকু করে আমার যে তৃপ্তি হচ্ছে, তা আমি বলে বোঝাতে পারব না।
আমি যখন দেখি হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলেছেন, তখন মানু্ষ হিসাবে আমার কেমন একটা ঘেন্না জন্ম নেয়। ঘুমোতে পারি না, সারারাত এই এক চিন্তা তাড়া করে বেড়ায়। তাই সারাদিন আমি ওঁদের ফোন নম্বর নিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করছি, কথা বলছি। যদি পারতাম, আমি নিজে গাড়ি চালিয়ে সকলকে গ্রামে গ্রামে পৌঁছে দিতাম।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন