বিশিষ্ট চিত্রগ্রাহক নিমাই ঘোষ-এর প্রয়াণে চলচ্চিত্র মহলে শোকের ছায়া

সত্যজিৎ রায় ও নিমাই ঘোষ
সত্যজিৎ রায় ও নিমাই ঘোষফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

বিশিষ্ট চিত্রগ্রাহক নিমাই ঘোষ প্রয়াত হলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৮৬ বছর। খ্যাতিমান এই আলোকচিত্র শিল্পী সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে দীর্ঘসময় যুক্ত ছিলেন। এছাড়াও তিনি ঋত্বিক ঘটক, মৃণাল সেন প্রমুখ বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালকদের সঙ্গেও কাজ করেছেন।

১৯৬৯ সালে গুপি গাইন বাঘা বাইন ছবির শ্যুটিং-এর সময় সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে কাজ শুরু করেন। এক সেকেন্ড হ্যান্ড ক্যামেরায় তাঁর তোলা স্থিরচিত্র দেখে মুগ্ধ হন সত্যজিৎ রায়। এরপরেই দীর্ঘ সময় তিনি সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে কাজ করেন। সত্যজিৎ রায়ের শেষ ছবি আগন্তুকেও (১৯৯১) তিনি স্থিরচিত্রের কাজ করেছিলেন।

সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে কাজ করা ছাড়াও ঋত্বিক ঘটকের যুক্তি তক্কো আর গপ্পো-তেও তিনি স্থিরচিত্রের কাজ করেন। মৃণাল সেনের ইন্টারভিউ, কলকাতায় ৭১, এক আধুরি কাহানি এবং গৌতম ঘোষের পার ছবিতেও তিনি স্থিরচিত্রের কাজ করেছিলেন।

২০১০ সালে তিনি পদ্মশ্রী উপাধিতে ভূষিত হন। ২০০৭ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বোর্ডের জুরি মেম্বারও হয়েছিলেন নিমাই ঘোষ।

১৯৩৪ সালের ৮ মে কলকাতায় এই প্রথিতযশা চিত্রগ্রাহকের জন্ম। বুধবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এদিনই কেওড়াতলা মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে সত্যজিৎ রায়ের পুত্র সন্দীপ রায় জানিয়েছেন – নিমাই ঘোষের মৃত্যু আমার কাছে বড় ক্ষতি। নিমাই কাকা ১৯৬৮ সাল থেকে আমাদের বাড়িতে আসতেন এবং আমাদের পরিবারের একজন সদস্য হয়ে গেছিলেন। বাবা ওনাকে খুবই পছন্দ করতেন।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in