
এ’কে পক্ষ, দু’য়ে চন্দ্র করে দশে দিক। দিকভ্রান্ত না হয়েই দশে পা দিল পিপলস রিপোর্টার। আপাতদৃষ্টিতে বাইরে থেকে যতটা মসৃণ মনে হয় এই দীর্ঘ পথ তা আদপেই নয়। বরং প্রতিদিন যুদ্ধ করে করেই এক পা এক পা করে এগোনো। যদিও এগোনো পেছোনোর হিসেব রাখার দায়িত্ব একান্তভাবেই আপনাদের। আমাদের পাঠক, দর্শক, শুভানুধ্যায়ীদের।
খবরের নামে গুজব, ভিউ বাড়ানোর জন্য ক্লিকবেটের আশ্রয় নেওয়া – এই পথে কোনোদিনই পা দেয়নি পিপলস রিপোর্টার। বরং টিম পিপলস রিপোর্টারের সবসময়ের চেষ্টা থাকে আসল খবরের মূল নির্যাসটুকু আপনাদের সামনে তুলে ধরার। যা পড়ে, দেখে, শুনে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন আপনারাই। ঠিক, বেঠিক, ভালো, মন্দ, খবর, অ-খবরের পার্থক্য নিজেরাই করে নিতে পারেন। বিকল্পের খোঁজ পেতে পারেন।
আমরা আলাদা, আমরা অন্যরকম বলে ঢাক পিটিয়ে লাভ নেই। দিনের শেষে কাজটুকুই থাকে। সত্যি বলতে কি, এই ঢাক পেটানোর জন্য যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন তাও আমাদের নেই। ফলত ব্র্যান্ডিং, প্রচার – এ সবের থেকেই আমাদের দূরেই থাকতে হয়। যদিও তার জন্য প্রকৃত খবর পৌঁছে দেবার ক্ষেত্রে কোনও সমঝোতা পিপলস রিপোর্টার করে না। প্রচার সর্বস্ব যুগে পিপলস রিপোর্টার তাই প্রচারে বেশ কিছুটা পিছিয়ে, যদিও খবরে নয়।
আমাদের কাজকর্মের পরিধি পুরোটাই যেহেতু ওয়েব জগতের ওপর ভিত্তি করে, সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর ভিত্তি করে তাই অনেক সময়েই বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের নীতি, খামখেয়ালিপনার শিকার হতে হয়। যার পেছনে অনেক সময়েই কোনও যুক্তিগ্রাহ্য কারণ থাকেনা। তবুও বাধ্য হয়ে মেনে নিতে হয়। সামলাতে হয় প্রতিদিনকার নতুন নতুন নিয়ম নীতিকেও। এর মধ্যে থেকেই এগিয়ে যেতে হবে।
যে লক্ষ্যে পিপলস রিপোর্টার মাত্র দু’জন নিয়ে শুরু হয়েছিল আজ সেই টিম অনেক জনের। যদিও লক্ষ্য এখনও স্থির। টিমের প্রতিটি সদস্য প্রতিদিন দক্ষতার সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যান, ঝড়ঝাপটা সহ্য করেও। সীমিত সামর্থ্যের মধ্যেও অনেক বড়ো স্বপ্ন নিয়েই পথ চলে পিপলস রিপোর্টার টিম। আমাদের এই কঠিন পথ চলায় আপনারাও আমাদের পাশে থাকুন, সঙ্গে থাকুন। আপনাদের গুজবে নয়, প্রকৃত খবরের মধ্যে রাখতে পিপলস রিপোর্টার অঙ্গীকারবদ্ধ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন