

২০১৬ থেকে ২০২১। সময়টা বেশ অনেকটাই। মাত্র দু’জনের উদ্যোগে শুরু হওয়া পিপলস রিপোর্টার এখন কিছুটা বেড়েছে। ধারে অথবা ভারে – তা বলবেন পাঠকরা। তবে গুজবে নয়, খবরে আস্থা রেখেই বিগত পাঁচ বছরের পথ চলায় একটু একটু করে শক্তি সঞ্চয় করেছে পিপলস রিপোর্টার। তাই এখন দেশে, বিদেশে – বহু পাঠকের কাছেই কিছুটা হলেও জায়গা তৈরি হয়েছে এই ডিজিটাল মিডিয়ার।
মিডিয়া মানেই গোদী, মিডিয়া মানেই চাটুকারিতা, বাম মিডিয়া, ডান মিডিয়া – এই বিষয়গুলো আংশিকভাবে হলেও সর্বাংশে সত্যি নয়। দিনের শেষে রক্ত ঘাম জল করে দিনভর কাজ করে যাওয়া মানুষগুলোকে আক্রমণের নিশানা করা হয়তো অনেক সোজা। কিন্তু একটু তলিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে ‘এঁরা’ একটা খবরকে দপ্তর পর্যন্ত পৌঁছে দেবার ক্ষমতাটুকুই শুধু রাখেন। পাঠকের কাছে পৌঁছে দেবার ক্ষমতা এঁদের নেই। তার জন্য পেরোতে হয় আরও কয়েকটা ধাপ। সেই ধাপ পেরিয়ে কোন খাবার পাঠকের পাতে পড়বে তার জন্য অনেকটাই কর্তার ইচ্ছেয় ভরসা রাখতে হয়।
ডিজিটাল মিডিয়ার দ্রুত বেড়ে চলা হয়তো এই কারণেই। যেখানে এতদিন পর্যন্ত মনে করা হত স্বাধীনতা অনেক। যেখানে নিয়ন্ত্রণ কিছুটা হলেও কম। যদিও সাম্প্রতিক পরিস্থিতি তা বলছে না। হাতে পায়ে বেড়ি সবজায়গাতেই। ফ্রীডম অফ প্রেস – শুনতে যতটা গালভরা কাজে ততটা নয় বলেই মনে হয়। বরং ট্র্যাপিজের খেলা খেলতে খেলতেই গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভকে এগোতে হয়। সুষ্ঠুভাবে একটা হাউস চালাতেও প্রচুর অর্থ, বিজ্ঞাপনের প্রয়োজন। দেওয়া নেওয়ার সম্পর্কে দেওয়া নেওয়া স্বীকার করেই মিডিয়াকে চলতে হয়।
পিপলস রিপোর্টারের কথায় আসি। আমরা কোনো বিশাল মিডিয়া হাউস নই। আমাদের পেছনে বিরাট কোনো মিডিয়া ব্যারণ বা বিনিয়োগকারীও নেই। পাঁচ বছর পার করে দিলেও আজও তাই ভাঁড়ার শূন্য। বিজ্ঞাপনও। তবু এখনও পর্যন্ত না থেমে পথচলা। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বদল আনা ওয়েবসাইটে। প্রতিনিয়ত টেকনিক্যাল বিষয়ের খুঁটিনাটি বদলাতে থাকা। সবই চলে ২৪ ঘণ্টা। কিছু শুভানুধ্যায়ীদের আনুকুল্যে, আন্তরিকতায়। এবং অবশ্যই যাঁদের কথা না বললেই নয় – তাঁরা হলেন পিপলস রিপোর্টারের সেই বাহিনী। যারা এই সব বাধাকে তুচ্ছ করেই এখনও পর্যন্ত আগলে রেখেছেন পিপলস রিপোর্টারকে। দু’জনে শুরু করা পিপলস রিপোর্টারকে ঘিরে আজ বেশ কয়েকজন।
প্রতিনিয়ত অসম লড়াই, যুঝতে যুঝতেই আমরা রাস্তা হাঁটি। হাঁটবো। ভালো মন্দের বিচার আপনাদের হাতে। আমরা আপনাদের কাছে গুজব নয়, খবর পরিবেশনের জন্য দায়বদ্ধ। সেই দায়বদ্ধতা মেনে নিয়েই ষষ্ঠ বছরের যাত্রা শুরু। সঙ্গে থাকুন। পাশে থাকুন। গুজবে নয়, খবরে থাকুন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন