হয়তো কিছু না বললেও হতো। তবুও লিখতে হলো পিপলস রিপোর্টারের অগুণতি শুভানুধ্যায়ীদের কথা ভেবে। শুধুমাত্র একটু সৎ, বস্তুনিষ্ঠ খবরের সন্ধানে যারা নিঃস্বার্থে এগিয়ে নিয়ে যান পিপলস রিপোর্টারকে।
শুক্রবার পিপলস রিপোর্টারের লোগো ব্যবহার করে সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের বয়ানে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ফোটোশপড স্ক্রিনশট ছাড়া হয়েছে এবং ফেসবুক ও হোয়াটস অ্যাপে ভাইরাল করা হয়েছে।
খুব স্পষ্টভাবেই বলে রাখি, পিপলস রিপোর্টারের পক্ষ থেকে এই ধরণের কোনো পোস্ট আজ কেন, কোনোদিনই করা হয়নি।
প্রথমত, প্রেসক্লাব বলে সূর্যকান্ত মিশ্রের যে ছবি ব্যবহার করা হয়েছে তা আসলে বিধানসভার প্রেস কর্নারের ছবি। সাম্প্রতিক সময়ে সূর্যকান্ত মিশ্র সেখানে কোন সাংবাদিক সম্মেলন করেননি।
দ্বিতীয়ত, আজ সূর্যকান্ত মিশ্র কোনও প্রেস মিট করেন নি।
তৃতীয়ত, পিপলস রিপোর্টার খবরের শিরোনামে যে ফন্ট ব্যবহার করে আর ফোটোশপ করা যে পোস্ট বাজারে ভাইরাল করা হয়েছে তার মধ্যে কোনও মিল নেই।
চতুর্থত, ১৪ ডিসেম্বর বিকেল ৪.৪২.৪৫ সেকেন্ডে পিপলস রিপোর্টারের ওয়েবে কোনো আপডেট দেওয়া হয়নি এবং পিপলস রিপোর্টারের ওয়েব সাইটে এভাবে সেকেন্ড ধরে সময় প্রকাশিত হয়না।
পঞ্চমত, পিপলস রিপোর্টারে 'নিজস্ব প্রতিবেদন' বলে কোনও খবর প্রকাশিত হয়না। হয় 'ওয়েব ডেস্ক', ;নিউজ ডেস্ক, নিজস্ব প্রতিনিধি বা নিজস্ব সংবাদদাতা মারফৎ খবর প্রকাশিত হয়।
অতএব এই ঘটনায় ‘মরালডা যা খাড়াইলো’ তা হলো – মৌচাকে ঢিল পড়েছে। তাই পিপলস রিপোর্টারের সুনাম হানির জন্য ত্রস্ত, আতঙ্কিত কেউ কেউ কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছেন।
খুব স্পষ্ট ভাষাতেই বলি – পিপলস রিপোর্টার বিষয়টাতে গুরুত্ব দিচ্ছে না এবং বালখিল্যের অপরাধ বলে মার্জনা করে দিচ্ছে। নাহলে আজকের দিনে দাঁড়িয়ে কে করেছেন, কোথা থেকে করেছেন জানতে এক মুহূর্তই যথেষ্ট। আর এই ধরণের জালিয়াতিতে মাননীয় সরকারের সাইবার ক্রাইম বিভাগের সাহায্য তো নেওয়াই যেত। কিন্তু থাক। বরং রাজ্যের এক প্রভাবশালীর ভাষাতেই বলা যাক – ‘ছুঁচো মেরে হাত গন্ধ করিনা।’
আমরা ভরসা রাখি পাঠকদের ওপর। একমাত্র তাঁদের কাছে, মানুষের কাছে আমাদের দায়বদ্ধতা। সমস্ত কুৎসার জবাব তাঁরাই দেবেন…
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।