একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য। আর তার জেরে খবরের শিরোনাম হওয়া নিয়ম করে ফেলেছেন দিলীপ ঘোষ। বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী না হলেও মেদিনীপুরের সাংসদ রাজ্যের প্রচারের জন্য বিশেষ দায়িত্ব পেয়েছেন। কিন্তু শীতলকুচিতে ৫ জনের মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে তাঁর বিতর্কিত মন্তব্য রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় বইয়ে দিয়েছে। একদিন আগেই তিনি মন্তব্য করেছিলেন, 'জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে।' সোমবার তিনি বললেন, 'আমার কোনও কর্মীর গায়ে হাত দেওয়ার দুঃসাহস যেন কারও না হয়। চাকরির সারাজীবন আমাদের পায়ের তলায় করতে হবে।' প্রকারান্তরে তিনি যে পুলিশকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন, তা স্পষ্ট।
সোমবার মুর্শিদাবাদের সুতিতে বিজেপি প্রার্থী কৌশিক দাসের সমর্থনে আয়োজিত সভায় দিলীপ ঘোষ পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বলেন, 'ওসির এত সাহস একটা সর্বভারতীয় দলের কর্মীদের ধমকাচ্ছেন। এসব করবেন না। ভুলেও এদের ধমকানো-চমকানোর দুঃসাহস দেখাবেন না। মনে রাখবেন বাকি জীবন আমাদের পায়ের নিচে চাকরি করতে হবে। কারও ধার ধারবো না।' প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই কৌশিক দাসকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল সুতির থানার ওসির বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার জেরেই এই হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে।'
এবারের নির্বাচনে সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী কৌশিক দাস। তাঁর সমর্থনে সুতির সভা মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে মেদিনীপুরের সাংসদ আরও বলেন, 'দিদি ভাঙা ঠ্যাং তুলে ভোট চাইছেন। অনেকে বলেন ভগবান কে নাম পে দে দে বাবা, আল্লাকে নাম পে দে দে বাবা। আর দিদি বলছেন ভাঙা ঠ্যাংয়ের নামে ভোট দে বাবা, ভোট দে দে মা। মানুষ কড়া রোদে দাঁড়িয়ে আপনাকে ভোট দিয়ে জিতিয়ে মুখ্যমন্ত্রী করল। কিন্তু এই ১০ বছরে আপনি কি দিয়েছেন বাংলার মানুষকে? দিয়েছেন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, রাজনৈতিক হিংসা আর দুর্নীতি। তাই ২ মে আপনার বিদায় নিশ্চিত।'
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।