সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করে বিজেপি মানুষের মধ্যে বিভেদ গড়ার যে জমি তৈরি করেছে, তার মূল কারিগর তৃণমূলই। অন্যদিকে সেই তৃণমূলই আবার বিজেপির সঙ্গে লোকদেখানো প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেমেছে। একদিকে পদ্ম ফুল, আর একদিকে ঘাসফুল-দুই ফুলের মেকি প্রতিদ্বন্দ্বিতা মানুষ বুঝতে পারছেন। বুধবার বউবাজারের নির্বাচনী জনসভায় এমনটাই বললেন মহম্মদ সেলিম।
তিনি বলেন, রাজ্যে বিজেপির সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করার উদ্যোগকে মদত দিয়েছে তৃণমূল। কিন্তু মানুষের ঐক্যকে অটুট রাখতে হবে। তার জন্য এগিয়ে এসেছে সংযুক্ত মোর্চা। ধর্ম ভুলে জীবন জীবিকার প্রশ্নের মানুষ যত এগিয়ে আসছে, ততই বিজেপি তৃণমূলের আশঙ্কা, আতঙ্ক বাড়ছে। ব্যবহার করা হচ্ছে কিছু বাজারি মিডিয়াকে। নানা ভুলভাল বিজ্ঞাপন দিয়ে মানুষের মনকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু এই অপচেষ্টার মাধ্যমে বিজেপি তৃণমূল সফল হবে না। গত পাঁচ দফা নির্বাচনে মানুষ সঠিক জায়গায় বোতাম টিপে মতামত দিয়েছেন।
বর্তমান কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে সমালোচনা করে তিনি বলেন, যখন করোনা সংক্রমণ শুরু হল, তখন মানুষের জীবিকা, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করে বলা হল থালা বাজাও, বাটি বাজাও। অন্যদিকে, পুঁজিপতিদের মুনাফার যোগান দিতে দেশে কৃষি বিষয়ক আইন তৈরি করে কৃষি ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়ে, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব শিল্প-কলকারখানা বিক্রি করে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নিজেদের স্বার্থে যারা দেশের মানুষকে অবহেলা করতে পারে, তারা কোনওদিনই মানুষের ভালো থাকতে পারে না।
তিনি বলেন, নির্বাচনে ধর্ম ঠিক হয় বা। হয় নির্বাচনে মানুষের বেঁচে থাকার দিক, কাজের উন্নয়নের দিক, বেকারদের চাকরি, রাজ্যের শ্রম মজুরির দিক। তাই ভেদাভেদ ভুলে মানুষের স্বার্থে যে নীতির কথা সংযুক্ত মোর্চা বলছে, মানুষ তাতে আস্থা রাখছেন।
প্রবীণ কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, রাজ্যে তৃণমূল ১০ বছর, দেশে বিজেপি ৭ বছর যেভাবে চলেছে, তার বিরুদ্ধে গিয়ে সংযুক্ত মোর্চার দিকে সমর্থন বাড়ছে। বিজেপি, তৃণমূলের ছলনায় না ভুলে সঠিক জায়গায় ভোট দিতে হবে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।