শেষ হয়ে গেল এক বর্ণময় জীবন। শনিবার প্রয়াত হলেন সুভাষ ভৌমিক। দীর্ঘ দিন ধরেই কিডনি ও সুগার সংক্রান্ত একাধিক অসুখে ভুগছিলেন সুভাষ। গত কয়েক মাস ধরে নিয়মিত চলছিলো ডায়ালিসিসও। গুরুতর শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে ভর্তি ছিলেন একবালপুরের এক নার্সিংহোমে। এদিন সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মাত্র ১৯ বছর বয়সে কলকাতা ময়দানে পা রেখে শুরু থেকেই জনপ্রিয় ছিলেন সুভাষ ভৌমিক। প্রবাদপ্রতিম কোচ পি কে ব্যানার্জির স্নেহধন্য ‘ভোম্বল’ ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানে দাপটের সঙ্গে খেলে ১৯৭৯ সালে অবসর নেন। কেরিয়ারের পাঁচ বছর সুভাষ কাটিয়েছেন ইষ্টবেঙ্গলে। ছ’বছর খেলেছেন মোহনবাগানে। ইস্টবেঙ্গল থেকেই তিনি অবসর নেন।
রীতিমত ঈর্ষণীয় ফুটবল জীবনে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে তিনি গোল করেছেন ৮৩টি। অন্যদিকে মোহনবাগানে ছ’বছর খেলে তাঁর গোলসংখ্যা ৮২। এছাড়াও ভারতের হয়ে ১৯৭০ এশিয়ান গেমসে তিনি ব্রোঞ্জ পদকজয়ী দলের সদস্য ছিলেন। বাংলা দলের হয়ে জিতেছেন সন্তোষ ট্রফিও। ১১ বছরের ফুটবলার কেরিয়ারে জিতেছেন একাধিক ট্রফি। যার মধ্যে আছে কলকাতা লীগ, আইএফএ শীল্ড, রোভারস কাপ, ডিসিএম ট্রফি, বরদোলুই ট্রফি, ফেডারেশন কাপ, ডুরান্ড কাপ, দার্জিলিং গোল্ড কাপ, নাগজী ট্রফি।
ফুটবল থেকে অবসর নেবার পর সুভাষ ভৌমিক ১৯৮৬ সালে জর্জ টেলিগ্রাফের কোচ হয়ে কোচিং জীবন শুরু করেন। এরপর দফায় দফায় কোচিং করিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহামেডান স্পোর্টিং, সালগাঁওকার, বাংলা দল এবং চার্চিল ব্রাদার্সে। সুভাষ ভৌমিকের কোচিং জীবনের সেরা উপহার অবশ্যই ২০০৩ সালে ইস্টবেঙ্গলের আশিয়ান কাপ জয়। জীবনের শেষ কোচিং করিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবেই।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।