ডার্বি হারের ধাক্কা কাটাতে পারলোনা এসসি ইস্টবেঙ্গলের। ১০ গোলের থ্রিলারে লাল-হলুদদের ৬-৪ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিলো ওড়িশা ফুটবল ক্লাব। জামশেদপুর এফসি-র বিরুদ্ধে ১-১ ব্যবধানে ড্র করার পর এটিকে মোহনবাগানের কাছে ৩-০ গোলে ডার্বি হারে ম্যানুয়েল মানোলো দিয়াজের বাহিনী।
চলতি আইএসএলে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ওড়িশার কাছে হেরে শুরুতেই ব্যাক ফুটে চলে গেলো SCEB। ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণভাগকে নিয়ে এদিন কার্যত ছেলেখেলা করে গোল বন্যায় ভাসালো ওড়িশা। ওড়িশার হয়ে এই ম্যাচে দুটি করে গোল করেছেন যথাক্রমে হেক্টর রোডাস ও আরিদে। একটি করে গোল করেছেন জাভি হার্নান্দেজ এবং আইজ্যাক ভানলালরুতফেলা।
ভাস্কো দা গামার তিলক ময়দান স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার শুরুটা মন্দ হয়নি এসসি ইস্টবেঙ্গলের। ম্যাচের ১৩ মিনিটেই রাজু গায়কোয়াড়ের লম্বা থ্রো থেকে গোল করে লাল-হলুদদের এগিয়ে দেন ড্যারেন সিডোয়েল। তবে পিছিয়ে পড়ার পরেই ঝড় তোলে ওড়িশা ফুটবল ক্লাব। ওড়িশার বারংবার আক্রমণ প্রথমার্ধের ৩০ মিনিট পর্যন্ত কোনোরকম আটকে রেখেছিলো ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণভাগ। তারপর আর প্রতিরোধ করতে পারেননি ফ্রাঞ্জো প্রসের দল। ৩৩ মিনিটে জাভি হার্নান্দেজের ফ্রী কিক থেকে আসা শট ধরে ওড়িশাকে সমতা এনে দেন হেক্টর রোডাস।
সমতা ফিরে পাওয়ার পর আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়ায় ওড়িশা। ৩৯ মিনিটে দুরন্ত হেডে গোল করে ওড়িশাকে এগিয়ে দেন হেক্টরই। প্রথমার্ধ শেষের আগে কর্ণার থেকে ইস্টবেঙ্গলের জালে বল জড়িয়ে দেন জাভি হার্নান্দেজ। প্রথমার্ধের শেষে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে কোণঠাসা করে ফেলে ওড়িশা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আবার আক্রমণ শুরু করেন কিকো গনজালেজের ছাত্ররা। ৭১ মিনিটে আরিদে ওড়িশার হয়ে চতুর্থ গোলটি করেন। ম্যাচে রোমাঞ্চ আসে ৮০ মিনিটের পর। দুই দল মিলে শেষ পর্যায়ে গোলের ঝড় তোলে। ৮০ মিনিটে থংখোসিয়েমের গোলে ব্যবধান কমায় এসসি ইস্টবেঙ্গল।
এর ঠিক দু মিনিট বাদেই আইজ্যাক ভানলালরুতফেলার গোলে ৫-২ গোলে এগিয়ে যায় ওড়িশা। এরপর ম্যাচের ৯০ মিনিটে এবং যোগ করা ইনজুরি সময়ের শুরুতেই ড্যানিয়েল চিমা চুকু পরপর দুই গোল করে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে আশার আলো জ্বালেন। তবে পরের মিনিটেই আরিদের দ্বিতীয় গোলটি ইস্টবেঙ্গলের স্বপ্ন ভঙ্গ করে। ৬-৪ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নেয় ওড়িশা ফুটবল ক্লাব।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।