লকডাউনের সময়ে তামিলনাড়ুর অত্যাধুনিক ফরেন্সিক ল্যাবে প্রিভেনশন অব চিল্ড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস (পকসো) আইনে মামলা এবং মহিলাদের হয়রানির মামলা আগের তুলনায় তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ওই ল্যাবের সঙ্গে যুক্ত এক বিশিষ্ট আধিকারিক সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, লকডাউনের আগে যেখানে প্রতি মাসে মোটামুটি ১৫টা এই ধরণের মামলা হত সে জায়গায় লকডাউনে সেই সংখ্যা ৫০এ পৌঁছে যায়।
এটা মনে রাখা দরকার এই অত্যাধুনিক ল্যাবের রিপোর্টে পুলিশের পক্ষে দোষীর বিরুদ্ধে মামলা কর্যে সুবিধা হয়। যদিও বাজারে মহিলা এবং শিশুদের হয়রানি সহ সাইবার ক্রাইম নির্ধারণের অনেক সফটওয়্যার পাওয়া যায় কিন্তু আদালত একমাত্র ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেকনোলজির দেওয়া তথ্যকেই মান্যতা দেয়।
তামিলনাডু ইনোভেটিভ ইনিশিয়েটিভের সাহায্য নেওয়ার আগে চেন্নাই ফরেন্সিক ল্যাব ওই উপকরণই ব্যবহার করত।
চেন্নাই ল্যাব ইউনিভার্সাল ফরেন্সিক এক্সট্র্যাক্ট ডিভাইস ব্যবহার করে। যা দিয়ে খারাপ হয়ে যাওয়া ফোনের ডিলিট হয়ে যাওয়া তথ্য উদ্ধার করা যায়। তাই সন্দেহভাজন অপরাধীদের মুছে ফেলা ফাইল পেতে পুলিশকে চেন্নাই ল্যাবের সাহায্য নিতে হয়।
তামিলনাড়ুর এক বিশিষ্ট পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, অনেক সময় অপরাধীরা অশ্লীল বার্তা বা ছবি মুছে ফেলে। কিন্তু ইউএফইডি প্রযুক্তির সাহায্যে সেই ফাইল উদ্ধার করে অপরাধীদের শাস্তি পর্যন্ত হয়েছে।
তবে ল্যাবের কর্তাব্যক্তি এবং বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, ল্যাবের নিয়মিত আধুনিকীকরণ প্রয়োজন। কারণ মোবাইল প্রস্তুতকারকরা প্রতিদিন প্রযুক্তি বদলাচ্ছে। অবশ্য ফরেন্সিক ল্যাবও নতুন নতুন সমস্যার মোকাবিলায় আধুনিকীকরণের লক্ষে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে।
- with inputs from IANS
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।