বিগত কয়েকবছরের দাম ছাপিয়ে রেকর্ডহারে বৃদ্ধি পেয়েছে জ্বালানির দাম। যার প্রভাব সরাসরি গিয়ে পড়ছে বাজারদরের উপর। কেন্দ্রীয় সরকার সাধারণের কাছে থেকে অপত্যক্ষ কর হিসেবেই এই টাকা ঘুরিয়ে আদায় করছে বলে মত একাংশের। দিল্লি, মুম্বই, কোলকাতা ও চেন্নাইয়ের মতো মেট্রো শহরগুলোতে গড়ে পেট্রোলের দাম বেড়েছে অনেকটাই।
২০১৪-১৫ সালে যেখানে পেট্রোলের দাম ছিল গড়ে লিটার প্রতি ৫৮.৯১ টাকা, তা ২০২১ সালে ১৫ জুনে এসে ৯৮. ২৬ টাকায় দাঁড়িয়েছে। গত ৭ বছরে যা ৬৭ শতাংশ বেড়েছে। একইভাবে গড়ে ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ৪৮.২৬ টাকা থেকে বেড়ে ৯১.০১ টাকা হয়েছে। যা প্রায় ৮৯ শতাংশ বৃদ্ধির সামিল।
অথচ, ভারতে আমদানিকৃত অপরিশোধিত তেলের দাম গত ৭ বছরে ৪৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৪-১৫ তে ব্যারেল প্রতি অপরিশোধিত তেলের দাম ছিল ৪৬.৫৯ ডলার। তা ২০২১-২২ হয়েছে ব্যারেল প্রতি ৬৬.৯৫ ডলার। কিন্তু দেশে জ্বালানির দাম এরথেকে অনেক বেশি পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। সুতরাং এখানেই স্পষ্ট, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দামের সঙ্গে ভারতের বাজারে পেট্রোল-ডিজেলের এই আকাশচুম্বি দাম বৃদ্ধির কোনও সম্পর্ক নেই।
ভারতে বেশিরভাগ প্রেট্রোলিয়াম দ্রব্যের চাহিদা পূরণ হয় অন্যান্য দেশ থেকে আমদানিকৃত অপরিশোধিত তেল থেকে। পরে তা পরিশোধিত হয়ে পেট্রোল, ডিজেল, এলপিজির মতো প্রয়োজনীয় জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অনেক সময়ই বলা হয়ে থাকে, বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধি হওয়াতে দেশে জ্বালানির দাম বাড়ছে। কিন্তু আসল সত্যিটা কেউই জানতে পারে না।
শুধু তাই নয়, ২০১৪-১৫ সাল থেকে ২০২১ সাল- এই সাত বছরে পেট্রোপন্যে কেন্দ্রীয় সরকারের ট্যাক্স বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১৩৮ শতাংশ। অনেক সময় বলা হয়ে থাকে যে- রাজ্যের ট্যাক্সের পরিমান বেশি কেন্দ্রের থেকে বেশি। কিন্তু এই তথ্যও পুরোপুরি সঠিক নয়। ২০১৪ সালের তুলনায় রাজ্যের ট্যাক্স ২০১৯-২০ সাল পর্যন্ত ১,৬০,৫২৬ কোটি থেকে বেড়ে ২,২০,৮৪১ কোটি হয়েছে, অর্থাৎ বৃদ্ধির হার ৩৭.৫ শতাংশ। সেই একই সময়ে কেন্দ্রের ট্যাক্স ১২৫% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।