
২০২০ সালটা ভারতীয়দের জন্য কালা বছর হিসাবে স্মরণীয় থাকবে। জীবনযাত্রা থেকে শুরু করে আয়ের ক্ষেত্রে এই বছরটা বিভীষিকার বছর বললেও চলে। বেকারত্বের হার রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আয়ের পরিমাণ রেকর্ড পরিমাণ কমে গিয়েছে। হাজারো পরিবার না খেতে পেয়ে দিন কাটিয়েছেন। বস্তুত শুধুমাত্র মহামারিই নয়, লকডাউনের কারণে আয়ের পথও বন্ধ হয়ে গিয়েছে বহু মানুষের। এর ওপর সরকারের কর্পোরেট সংস্থা প্রীতি অর্থনীতির অবস্থা আরও খারাপ করেছে। সবমিলিয়ে বছর শেষ হতে চললেও খারাপ দিন এখনও অনেক বাকি পড়ে রয়েছে।
দেশের প্রধানমন্ত্রী শান্তিতে বসে রয়েছেন এই ভেবে যে, দেশের অর্থনীতি আশাতীতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এই আর্থিক বৃদ্ধির কথা কর্পোরেট সংস্থাদের শুনিয়ে চলেছেন। কিন্তু আসল সত্যিটা পুরোটাই উল্টো। যে কোনও অর্থনীতির উন্নয়নের পরিচায়ক হল চাকরির বাজার। ঠিক কতজন মানুষ চাকরি পেয়েছেন? বেকারত্বের হার ঠিক কত পরিমাণ? দেশের বেশিরভাগ মানুষ কী চাকরি করছেন? এইসব বিষয়গুলোর উপর বিশেষ নজর দেওয়ার পরই বোঝা যায় অর্থনীতির উন্নয়ন হচ্ছে। এক্ষেত্রে কিন্তু তা হয়নি একেবারেই। বরং গত দু'বছরের তুলনায় এবছরে দেশে বেকারত্বের হার বেড়েছে। CMIE ডাটা অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে দেশে বেকারত্বের হার ছিল ৭.০ শতাংশ। ২০২০ সালের মার্চ মাসে তা বেড়ে হয় ৭.৮ শতাংশ, যা একেবারেই সুখকর নয়। এর ওপর লকডাউনের কারণে দেশের অর্থনীতি একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। বেকারত্বের হার এপ্রিল মাসে ছিল ২৪ শতাংশ ও মে মাসে ছিল ২২ শতাংশে গিয়ে দাঁড়ায়। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতেই মানুষ পুনরায় কাজে যোগ দিয়েছেন বিশেষত অসংগঠিত ক্ষেত্রে। কিন্তু আয়ের হার আগের থেকে অনেক কমে গিয়েছে। ফলে অর্থনীতির হাল তেমন কিছু উন্নতি হয়নি।
GOOGLE NEWS-এ আমাদের ফলো করুন