'ব্রেকিং নিউজ' যখন 'ভুয়ো খবর'

ছবি পিআইবি ট্যুইট থেকে সংগৃহীত
ছবি পিআইবি ট্যুইট থেকে সংগৃহীত

তথাকথিত ‘ব্রেকিং নিউজ’-এর পেছনে ছুটতে গিয়ে সংবাদমাধ্যম কখনও কখনও দর্শক, শ্রোতা, পাঠকদেরও বিভ্রান্ত করছে না তো? ফেক নিউজের রমরমার যুগে সাম্প্রতিক সময়ে যেভাবে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এক ভুয়ো খবর সম্প্রচারিত হয়েছে প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েই। দানা বেঁধেছে বিতর্কও। খোদ প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো থেকে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে ওই ভুয়ো সংবাদ প্রসঙ্গে।

গত ১৯ নভেম্বর একাধিক টিভি চ্যানেলে দেখানো হয়েছিলো পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘পিনপয়েন্ট স্ট্রাইক’। যদিও বিভিন্ন চ্যানেলের এক ‘ব্রেকিং নিউজ’কে খোদ সরকারি প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো থেকে ভুয়ো বলে জানানো হয়।

পিআইবি-র পক্ষ থেকে গত ১৯ নভেম্বর রাত ১০টা ৪ মিনিটে ট্যুইট করে জানানো হয় – একাধিক সংবাদমাধ্যমে লাইন অফ কন্ট্রোলে সন্দেহভাজন সন্ত্রাসবাদী ডেরায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর আক্রমণ বলে যা দেখানো হয়েছে পিআইবি জানাচ্ছে সেই দাবী ভুয়ো। আজ লাইন অফ কন্ট্রোলে কোনো গুলি বিনিময় হয়নি।

যদিও এই ঘটনা নিয়ে একাধিক চ্যানেলে ব্রেকিং নিউজ দেখানো হয়। একাধিক ট্যুইট হয়। সাংবাদিক রুবিকা লিয়াকত হ্যাসট্যাগ #AbkiBaarPokPaar শুরু করেন এবং লেখেন সকলকে গানপাউডার দিয়ে স্বাগত জানানো হবে। একইভাবে এই বিষয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ট্যুইট করে দীপক চৌরাসিয়া। যদিও পরে সেই ট্যুইট তিনি ডিলিট করে দেন। তিনি জানিয়েছিলেন – পিওকে তে ভারতের সবথেকে বড়ো এয়ার স্ট্রাইক। সেনা জওয়ানদের অপারেশন সফল। একাধিক জঙ্গী ঘাঁটি ধ্বংস। যদিও এই ট্যুইট মুছে পরে তিনি লেখেন পিটিআই-এর খবর সেনাবাহিনী খন্ডন করেছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আজ কোনো ঘটনা ঘটেনি। এটা ১৩ নভেম্বরের ঘটনা।

যদিও ইতিমধ্যেই সেদিনের এই ঘটনা বড়সড় প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে বিভিন্ন চ্যানেলকে। কীভাবে এক অপরীক্ষিত সংবাদ ঠিকভাবে যাচাই না করেই সম্প্রচার করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে একাধিক মহলে। প্রশ্ন উঠেছে বিষয়টি সামনে আসার পরেও কোনো সংবাদমাধ্যমই ‘ক্ষমা’ না চাওয়ায়। যা নিয়ে ট্যুইটারে ‘ফেক মিডিয়া’ হ্যাসট্যাগ দিয়ে উত্তর চাওয়া হয় সংবাদমাধ্যমের কাছে।

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in