রাশিয়ায় আর ব্যবহার করা যাবে না ফেসবুক, টুইটার। নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে সরকারের তরফ থেকে। জানিয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রক সংস্থা 'রস্কোমনাজর'।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে গোটা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ব্রিটেনে বেশ কয়েকটি রুশ সংবাদমাধ্যমের পেজ ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম সরিয়ে দেয়। বিষয়টি রস্কোমনাজর-এর নজরে আসে। মনে করা হচ্ছে, ফেসবুকের উপর ‘বদলা’ নেওয়ার ইচ্ছা থেকেই মস্কো সরকার এই সিদ্ধান্ত নিল। এরকম ধারণার কথা উল্লেখও করেছে একাধিক সংবাদমাধ্যম।
পাশাপাশি যুদ্ধ সংক্রান্ত কোনও ভুয়ো খবর যাতে ছড়ানো না হয়, সেই নির্দেশও জারি হয়েছে। ভুয়ো খবর ছড়ালে তবে তা অপরাধ বলে গণ্য করা হবে। এই মর্মে শুক্রবার একটি বিল পাস করে পুতিনের সরকার।
ঘটনার সূত্রপাত উইক্রেনে রাশিয়া 'বিশেষ সামরিক অভিযান' ঘোষণা করার পর থেকেই। রাশিয়ার অভিযোগ, বেশকিছু রাশিয়ান সংবাদমাধ্যমের (সরকার পরিচালিত) উপর ফেসবুক ইচ্ছাকৃতভাবে বিধিনিষেধ জারি করে ফেসবুক। অনুরোধ করা স্বত্বেও সেই বিধিনিষেধ তোলা হয়নি। তাই আংশিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
অন্যদিকে, মেটা ( ফেসবুক) কর্তৃপক্ষ পাল্টা হিসাবে, রাশিয়ান সরকার পরিচালিত সমস্ত সংবাদমাধ্যমের বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দেয়। মেটার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের ভিপি নিক ক্লেগ ঘোষণা করেন – “আমরা এখন সমস্ত রাশিয়ান রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমকে বিশ্বের যেকোন জায়গায় আমাদের প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপন চালানো নিষিদ্ধ করছি। আমরা আরও বেশ কিছু রাশিয়ান সংবাদমাধ্যমকে ‘সরকার পরিচালিত সংবাদমাধ্যম’ হিসাবে বিবেচনা করতে চলেছি।”
তারপর ক্রমেই বাড়তে থাকে চাপান-উতর। চলছে নিষেধাজ্ঞা, পাল্টা নিষেধাজ্ঞা। ইতিমধ্যে অ্যাপল, গুগল, মাইক্রোসফট, ট্যুইটার, ইউটিউব, মেটা এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্ম রাশিয়ার সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদসংস্থা আরটি (RT) এবং স্পুটনিককে নিষিদ্ধ করেছে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।