আবার কি একটা ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের সাক্ষী হতে চলেছে বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী রাজ্যগুলি? এই আশঙ্কায় এখন ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। আগামী সপ্তাহেই আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘মোচা’। যদিও এখনই আতঙ্কের কিছু নেই বলে মত আবহাওয়াবিদদের।
গাঙ্গেয় উপকূলবর্তী এলাকার মানুষরা এখনও আমফানের ভয়াবহতা ভুলতে পারেনি। এর মধ্যে আরও একটি ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা ঘনীভূত হচ্ছে। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, বঙ্গোপসাগরের বুকে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হচ্ছে। এই ঘূর্ণাবর্ত শক্তি বাড়িয়ে প্রথমে নিম্নচাপ এবং পরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় ঠিক কোথায় আছড়ে পড়বে তা এখনই জানানো সম্ভব নয়। তবে মনে করা হচ্ছে তামিলনাড়ু, ওড়িশা উপকূলে প্রভাব পড়তে পারে।
আবহাওয়াবিদরা এও জানাচ্ছেন, ৬ মে, শনিবার বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে। এই ঘূর্ণাবর্ত দক্ষিণ পূর্ব ও দক্ষিণ মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে আপাতত সরাসরি কোনো প্রভাব পড়বে না। তবে নিম্নচাপের ফলে আগামী ৮ তারিখ থেকে বৃষ্টিপাত ও ঝোড়ো হাওয়া বইবে। প্রশাসন আগাম সতর্কতা নিতেই পারে। তাতে কোনো ক্ষতি নেই।
পাশাপাশি আবহাওয়াবিদরা জানান, রাজ্যে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত হবে। কোথাও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে। বুধবার দক্ষিণবঙ্গে শিলা বৃষ্টি ও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি। কোথাও কোথাও দমকা ঝোড়ো হওয়া বইতে পারে। গতিবেগ থাকবে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত। উত্তরবঙ্গে পার্বত্য এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড়ের জন্য উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। বৈঠকে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলে দলের পাশাপাশি দমকল বিভাগের কর্মীদেরও প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই ‘মোচা’ নামটি দিয়েছে ইয়েমেন। ইয়েমেনের সমুদ্রবন্দর মোকার নামানুসারে ঘূর্ণিঝড়টির নামকরণ করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো মোট ১৩টি দেশ বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে থাকে। এই ১৩টি দেশ হলো - ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মায়ানমার, ইয়েমেন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, কাতার, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ওমান, ইরান, মালদ্বীপ এবং সৌদি আরব।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন