পদার্থবিদ্যা জগতে নক্ষত্র পতন – প্রয়াত স্টিফেন হকিং

স্টিফেন হকিং
স্টিফেন হকিংফাইল ছবি সংগৃহীত

পদার্থবিজ্ঞানের জগতে নক্ষত্রপতন। মারা গেলেন ব্রিটিশ তাত্ত্বিক পদার্থবিদ প্রফেসর স্টিফেন হকিং। মৃত্যুর সময় বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। বুধবার প্রফেসরের তিন সন্তান একটি বিবৃতি দিয়ে এই খবর জানিয়েছেন।

ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “আমরা গভীরভাবে দুঃখিত, আমাদের প্রিয় বাবা আজ মারা গিয়েছেন। তিনি একজন অসাধারণ বিজ্ঞানী ছিলেন। ওনার অবদান বহুবছর পরেও সবাই মনে রাখবে। ওনার সাহস, অধ্যাবসায় সারা পৃথিবী জুড়ে আরও বহু মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে।”

১৯৬৩ সালে, প্রফেসর হকিং-এর মোটর নিউরন রোগ ধরা পড়ে। যা সারা শরীরে ক্ষয় ধরিয়ে শরীরকে পক্ষাঘাতগ্রস্ত করে দেয়। নড়াচড়ার ক্ষমতা হারান প্রফেসর। এমনকি ঠিক করে কথা বলতেও পারতেন না। গালের কাছে লাগানো একটি মাইক্রোফোনের সাহায্যে কোনোরকমে কথা বলতেন তিনি।এতো বাধা সত্ত্বেও একবারের জন্য নিজের মনোবল হারাননি তিনি। প্রবল উৎসাহে নতুন নতুন জিনিস আবিষ্কার করেছেন। পদার্থবিদ্যার জগতে নতুন ভাবনা এনে দিয়েছে।

তিনিই প্রথম কোয়ান্টাম মেকানিকস ও আপেক্ষিকতাবাদের সাধারণ সূত্র ব্যবহার করে সৃষ্টিতত্ত্বের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। পরমাণু ও অতিপারমাণবিক কণার প্রকৃতিতে কী ক্ষমতা তা নিয়ে মৌলিক ধারণা দিয়েছেন তিনি।

প্রফেসর হকিং, সম্মানীয় FRCS(Fellow Of Royal Society Of Arts) ছিলেন। আজীবন সদস্য ছিলেন পন্টিফিশাল অ্যাকাডেমিক অফ সায়েন্সের। যুক্তরাষ্ট্রের সবথেকে উচ্চ অসামরিক সম্মান প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অফ ফ্রীডম পেয়েছেন তিনি।

২০০২ সালে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন নির্বাচনে ১০০ জন বিখ্যাত ব্রিটেনবাসীদের মধ্যে প্রফেসর হকিং ২৫ ক্রম করেন।

২০১৪ সালে প্রফেসর হকিং-কে নিয়ে একটি চলচ্চিত্র তৈরী হয়-দ্য থিওরি অফ এভরিথিং।

প্রফেসরের আত্মজীবনী ‘এ ব্রিফ হিস্ট্রি অফ টাইম’, আমাদের সময় নিয়ে ভাবতে শেখায়। বইটির অল্পসময়ের মধ্যে অধিক বিক্রয় হওয়ার রেকর্ডও রয়েছে।

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in