গ্লোবাল চেঞ্জ বায়োলজির রিপোর্টে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই সংস্থার পেশ করা রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে ১৯৯০-২০২০ সাল পর্যন্ত ১১ লক্ষ সামুদ্রিক কচ্ছপ অবৈধভাবে মেরে ফেলা হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে - বিগত দশকে প্রতি বছর বিশ্বের ৬৫টি দেশে ৪৪ হাজার সামুদ্রিক কচ্ছপ শিকার করা হয়েছে। গবেষণায় এও বলা হয়েছে একাধিক কঠোর আইন থাকা সত্ত্বেও অবৈধভাবে কচ্ছপ গুলি ধরা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বিগত দশকে যেসব সামুদ্রিক কচ্ছপ শিকার করা হয়েছিল তার মধ্যে বেশিরভাগই বড়, স্থিথিশীল এবং জেনেটিক্যালি বৈচিত্রপূর্ণ।
সামুদ্রিক কচ্ছপগুলিকে মূলত মাংস ও খোলসের জন্য শিকার করা হয়। কচ্ছপের খোলস থেকে বিভিন্ন গহনা, ওষুধ তৈরি করা হয়। অবৈধ বন্যপ্রাণীর ব্যবসা, শিকার ও পাচার রমরমিয়ে বাড়ছে। সূত্রের খবর, এই অবৈধ ব্যবসার পরিমান বার্ষিক প্রায় ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বিজ্ঞানীরা শেষ দশ বছরের চোরাচালানের পরিসংখ্যান দেখে কিছুটা হলেও অবাকও হয়েছেন। সামুদ্রিক কচ্ছপ অবৈধভাবে শিকার প্রায় ২৮ শতাংশ কমেছে। প্রাথমিকভাবে তারা ভেবেছিল চোরাচালান আরও বৃদ্ধি পাবে। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এইভাবে অবৈধ কচ্ছপ শিকার হ্রাস পাওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে সংরক্ষণ আইনের কঠোরতা সহ বিভিন্ন আইন প্রয়োগ। তাছাড়া সচেতনতা বৃদ্ধির ফলেও চোরাচালান কমলেও কমতে পারে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।