মোদি সরকার যে নব্য উদারনীতির এজেন্ডা নিয়ে এগিয়েছিল, কৃষক আন্দোলন তাতে বড়সড় ধাক্কা দিয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে কর্পোরেট ও হিন্দুত্বের মেলবন্ধন দেশে যে নতুন অবস্থানের সৃষ্টি করেছিল, তাকে বড়সড় চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে এই নব্য উদারনীতির সবথেকে বেশি ভুক্তভোগী কৃষক, মৎস্যজীবী ও কারিগর সমাজ। এই উদারনীতির চাপে নীচু শ্রেণির এইসব কৃষক, শ্রমিকরাই নিগ্রহের শিকার হয়েছেন। সম্প্রতি ন্যাশনাল হেরাল্ডের এক প্রতিবেদনে এই মত প্রকাশ করেছেন বিশিষ্ট তাত্ত্বিক প্রভাত পট্টনায়েক।
তাঁর মতে, পূর্ববর্তী সময়ে এই শাসনব্যবস্থার কারণে ক্ষুদ্র উৎপাদনকারীরা পুঁজিবাদীদের দ্বারা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল। বিশেষত হস্তশিল্প খাতে যার প্রভাব সরাসরি পরেছিল। ঠিক একইভাবে রাষ্ট্র কৃষক ও কপোর্রেটদের মাঝে ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছিল বিভিন্ন ভর্তুকির মাধ্যমে। কিন্তু এখন এই নব্য উদারনীতিতে যুক্ত হয়েছে হিন্দুত্ব। যা এই ক্ষুদ্র উৎপাদনকারীদের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করছে।
ওই প্রতিবেদনে প্রভাত পট্টনায়েক আরও বলেছেন - নোটবন্দি, জিএসটি এবং সম্প্রতি বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইনের ফলে এই ক্ষুদ্র উৎপাদন ক্ষেত্রের উপর বড়সড় আক্রমণ চালিয়েছে। এ্ই আইনগুলো সম্পূর্ণভাবে পুরনো ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেবে। কৃষকদের হাতে আর কিছুই থাকবে না। অবশেষে সব সীমার বাঁধ ভেঙে যাওয়ার কারণে সরকারের বিরুদ্ধে এবার একত্রে গর্জে উঠেছে সমাজের শ্রমজীবী মানুষের সমাজ। যা সামাল দেওয়া কেন্দ্রের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।