অধীর চৌধুরী ও মমতা ব্যানার্জি
অধীর চৌধুরী ও মমতা ব্যানার্জিফাইল ছবি সংগৃহীত

যে খাইয়ে দেয়, মমতা তারই হাত কামড়ায়: অধীর

তৃণমূলকে তোপ দেগে অধীর বলেন, 'ইডি এবং সিবিআই থেকে নিজের পরিবার ও দলীয় নেতাদের বাঁচানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে খুশি করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

তৃণমূলের মুখপত্র 'জাগো বাংলা'য় কংগ্রেসকে পচা সমুদ্র বলে কটাক্ষ করা হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে। তারপরও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নানাভাবে কংগ্রেসের সমালোচনা করেছেন। আর তাতেই কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে সন্ধির সুর কেটে গিয়েছে।

বন্ধুত্বের বার্তা প্রথম দিয়েছিল কংগ্রেসই ভবানীপুর উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোনও প্রার্থী দাঁড় না করিয়ে। জাতীয় স্তরেও সোনিয়া গান্ধীর ডাকা বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডাক পেয়েছিলেন। কিন্তু তৃণমূল আর সেই সম্পর্ক চালিয়ে যেতে চায়নি। তৃণমূূূলের নানা বিদ্রুপাত্মক মন্তব্যের জেরে কংগ্রেসের হয়ে প্রতি আক্রমণে নেমেছেন অধীর চৌধুরী।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিজেপির 'ট্রয়ের ঘোড়া' বা এজেন্ট বলে আক্রমণ শানিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, 'যে হাত খাওয়ায়, মমতা সবসময় সেই হাতেই কামড় বসাতে চেয়েছেন। বিরোধী ঐক্য গঠন থেকে তাঁকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে। মমতা হল বিজেপির ট্রয়ের ঘোড়া। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যাঁকে কখনও ভরসা করা যায় না।'

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন বলে কটাক্ষ করে লোকসভার বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, তাঁর রাস্তায় সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে কংগ্রেস। কংগ্রেস যতদিন থাকবে, ততদিন মমতা কখনই বিরোধী জোটের নেত্রী হতে পারবেন না। তাও তিনি কংগ্রেসের ভাবমূর্তি ও নেতৃত্বকে খাটো করে দেখানোর চেষ্টা করছেন।

তৃণমূলকে তোপ দেগে অধীর বলেন, 'ইডি এবং সিবিআই থেকে নিজের পরিবার ও দলীয় নেতাদের বাঁচানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে খুশি করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। একদিকে, বিজেপির উদ্দেশ্য কংগ্রেস-মুক্ত ভারত গড়া। আর বিজেপির সেই লক্ষ্য পূরণ করতে সাহায্য করছেন মমতা।'

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in