আচমকাই অপসারিত হলেন দিলীপ ঘোষ। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপি সভাপতির পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হল সুকান্ত মজুমদারকে। সুকান্ত মজুমদার বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ। সোমবার রাজ্য বিজেপির এই সাংগঠনিক পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করেছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা।
বিজেপি রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হলো দিলীপ ঘোষকে। দিল্লিতে কেন্দ্রীয় বিজেপির নেতৃত্ব বৈঠকের পরই বাংলা রাজনীতিতে বদলানোর জরুরি সিদ্ধান্ত বিজেপির। বাবুল সুপ্রিয়র দলত্যাগের পরেই নড়েচড়ে বসে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বাংলায় দল ছাড়ার হিড়িক আটকাতেই তড়িঘড়ি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে দেওয়ার।
দিলীপ ঘোষকে আচমকা কেন সরিয়ে দেওয়া হল সেই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকে কিছু জানা যায়নি। এই বদলকে রুটিন সাংগঠনিক বদল বলেই বলা হচ্ছে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ের বেশ কিছু ঘটনা এবং একের পর এক বিজেপি নেতৃত্বের দলত্যাগের কারণে তিনি দলে এক অংশের বিরাগভাজন হয়েছেন বলেও মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করতে অভ্যস্ত দিলীপ ঘোষ গতকালও সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া প্রাক্তন বিজেপি নেতা ও মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় সম্পর্কে বলেন - উনি (বাবুল সুপ্রিয়) বিজেপিতে এসেও কাউকে ধাক্কা দিতে পারেননি, ওনার যাওয়াও দলের কাছে কোনো ধাক্কা নয়। যাঁরা রক্ত দিয়ে বিজেপিকে দাঁড় করিয়েছেন, নির্বাচনের পর অত্যাচারিত হয়েছেন, তাঁরাই দলের সম্পদ। তাঁরা আছেন এবং সবসময় থাকবেন। এর আগেই একাধিকবার তাঁর বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগ উঠেছে।
দিলীপ ঘোষকে রাজ্য বিজেপি সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেবার পর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিজেপির জাতীয় সহ সভাপতি হিসেবে। সময়ের হিসেবে সভাপতি হিসেবে দিলীপ ঘোষের মেয়াদ এখনও অনেকটাই বাকি ছিলো। যদিও তার এত আগে তাঁকে আচমকা সরিয়ে দেওয়া হবে সেই আঁচ করতে পারেনি রাজনৈতিক মহল।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।