বহিষ্কৃত পড়ুয়ারা কবে থেকে ক্লাস করতে পারবেন? তা নিয়ে আপনি কি ভাবছেন? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বলেন, 'আমি চিন্তিত ন্যাফের পরিদর্শন নিয়ে। এই নিয়ে পরে কথা বলব।' দীর্ঘদিনের মৌনতা ভেঙে শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন ডাকে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সবার ধারণা ছিল, ক্যাম্পাসের অচলাবস্থা, আন্দোলন-প্রতিবাদ, বহিষ্কার, সাসপেনশন এসব নিয়ে মুখ খুলবে কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু সম্প্রতি এনআইআরএফের ক্রমতালিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থানের অবনমনের জন্য বেশি উদ্বিগ্ন ছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য এবং আধিকারিকরা। ইতিমধ্যে শোকজ করা হয়েছে অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকে। অন্যদিকে বহিষ্কৃত নেতা সোমনাথ সৌ উপাচার্যের ঘনিষ্ঠ বৃত্তে থাকা সংসদ ভবনের অধ্যাপক সুমিত বসুর বিরুদ্ধে জাতিগত বৈষম্য, হেনস্থা, প্রাণনাশের হুমকি এবং বলপূর্বক ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ জানান শান্তিনিকেতন থানায়।
প্রসঙ্গত, তিনদিন আগে কলকাতা উচ্চ আদালত বিশ্বভারতীকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছে। তারপরও শোকজ করা হয়েছে সাসপেন্ডেড থাকা সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকে। অধ্যাপক সংগঠন ভিবিউফার সভাপতি সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, 'শুধু আমি নই। এই আন্দোলনের সঙ্গে বিশ্বভারতীর অধ্যাপক সংগঠন যুক্ত ছিল। এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করে আইনগত পদক্ষেপ করা হবে।'
এদিকে সোমনাথ সৌয়ের অভিযোগ, শুক্রবার বেলায় বন্ধুদের সঙ্গে তিনি খাওয়া দাওয়া সারছিলেন। তখন বিশ্বভারতীর সঙ্গীত ভবনের অধ্যাপক সুমিত বসু সাইকেলে যাচ্ছিলেন। তাঁকে দেখে কটূক্তি করেন। জাতপাত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তার প্রতিবাদে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। যদিও সুমিত বসুর এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।