আদালতের নির্দেশ মেনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় বহিষ্কৃত পড়ুয়ারা তাদের বিক্ষোভ মঞ্চ খুলে নিয়েছেন। সরিয়ে নিয়েছেন ব্যানার, পোস্টার। কিন্তু এখনও তাঁদের ক্লাস করার অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার সকালে পিপলস রিপোর্টারের প্রতিনিধিকে এসএফআই বীরভূম জেলা সম্পাদক ওয়াসিফ ইকবাল জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত তিন ছাত্রের ক্লাসে যোগ দেবার বিষয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষর সবুজ সঙ্কেত আসেনি। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন আছে। তারপরেই আমরা আমাদের আন্দোলনের পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন, বিশ্বভারতীর বহিষ্কৃত তিন পড়ুয়া যেন বৃহস্পতিবার থেকে ক্লাসে যোগ দিতে পারেন, তার অনুমতি দিতে হবে। গতকাল সকালে ক্লাস করার অনুমতি চেয়ে পড়ুয়ারা ইমেলও করেন। পাশাপাশি বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে তীব্র ভর্ৎসনা করে কলকাতা হাইকোর্ট বলেছিল, উপাচার্য নিজেকে আইনের ঊর্ধ্বে মনে করলে তাহলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে আদালত।
পড়ুয়াদের ক্লাস করা নিয়ে আদালতের সেই নির্দেশ বা উপাচার্যকে ভর্ৎসনা - কিছু নিয়েই যে কর্তৃপক্ষ মাথা ঘামায়নি, সেটা বৃহস্পতিবার সকালেও স্পষ্ট ছিলো। যদিও আদালতের নির্দেশ মেনে অবস্থান মঞ্চ থেকে ফেস্টুন, ব্যানার সরিয়ে নিয়েছেন আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। অনশন প্রত্যাহার করেছেন বহিষ্কৃত ছাত্রী তথা এসএফআই নেত্রী রূপা চক্রবর্তী।
বহিষ্কৃত ছাত্র সোমনাথ সৌ বলেন, 'আদালতের নির্দেশ মেনে আমরা আন্দোলন মঞ্চ থেকে ব্যানার, পোস্টার সরিয়ে ফেলেছি। এখন আমরা অপেক্ষা করছি বিশ্বভারতীর তরফ থেকে কখন আমাদের ক্লাসে যোগ দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্য এখনও পর্যন্ত কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কোনও অনুমতিপত্র দেওয়া হয়নি।'
পড়ুয়াদের অনুমতি না দেওয়া নিয়ে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্বভারতীর এক আধিকারিক জানান, 'আদালত অবমাননার দায় চাপতে পারে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষর ওপর। গভীর রাত্রেও ইমেল করে যখন ছাত্র-ছাত্রীদের সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত জানানো হচ্ছে, তখন আদালতের সিদ্ধান্ত কেন মানা হচ্ছে না, এ-নিয়েও প্রশ্ন উঠবেই।'
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।