তৃণমূলের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল আনফলো করলো দলীয় সাংসদ মহুয়া মৈত্র। 'মা কালী নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সর্বভারতীয় তৃণমূলের টুইটার হ্যান্ডেল আনফলো করলেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ।
ঘটনার সূত্রপাত পরিচালক লীনা মানিমেকালাইয়ের একটি তথ্যচিত্রের পোস্টারকে কেন্দ্র করে। তথ্যচিত্রের নাম কালী। তথ্যচিত্রের পোস্টারে দেবী কালী রূপে এক মহিলাকে দেখানো হয়েছে, যিনি ধূমপান করছেন এবং যাঁর হাতে LGBTQ পতাকা রয়েছে। এই ছবিকে ঘুরে তীব্র বিতর্ক শুরু হয় দেশজুড়ে। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগ এনে একাধিক FIR দায়ের হয় পরিচালকের বিরুদ্ধে।
সোমবার কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে এই বিতর্ক নিয়ে মুখ খোলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনি বলেন, "আপনারা যদি ভুটান বা সিকিম যান, সেখানের পূজা দেখেন, তাহলে দেখবেন তাঁরা দেবতাকে হুইস্কি দেন। আপনি যদি উত্তরপ্রদেশ যান এবং সেখানে গিয়ে বলেন দেবতাকে প্রসাদ হিসেবে হুইস্কি দিতে যান, সেখানকার লোকেরা বলবেন এটা তীব্র নিন্দাজনক।"
তিনি আরও বলেন, "আমার মতে, ভগবান কালী একজন মাংস ভোজনকারী এবং মদপানকারী দেবী। আপনারা যদি তারাপীঠ যান, দেখবেন সাধুরা ধূমপান করছেন। কালীর এই রূপকেই ওখানে পূজা করে। হিন্দুধর্মে, একজন কালী উপাসক হিসেবে, কালীকে এইভাবে কল্পনা করার অধিকার আছে আমার।"
তৃণমূল সাংসদের এই মন্তব্যের পরই সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয় মহুয়া মৈত্রের এই মন্তব্যের সাথে সহমত নয় দল। টুইট করে জানানো হয, "ভগবান কালীকে নিয়ে মহুয়া মৈত্র যে মন্তব্য করেছেন তা একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত মন্তব্য। দল কোনোভাবেই এই মন্তব্য অনুমোদন করে না। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করে।"
এরপরই সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের টুইটার হ্যান্ডেল আনফলো করে দেন মহুয়া মৈত্র। এই ঘটনায় নতুন করে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপি নেতা রথীন্দ্রনাথ বোসের কথায়, "ভোট পাওয়ার জন্য হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত করা শাসক তৃণমূলের অফিসিয়াল স্ট্যান্ড।"
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।