দীর্ঘ ছয়-সাত ঘন্টা ভোট প্রশিক্ষণে কোথাও টিফিন শুধু চা-বিস্কুট, কোথাও সেটুকুও নেই। আবার কোথাও টিফিনে জিরা রাইস-চিকেন। একই বরাদ্দে ভিন্ন চিত্র নিয়ে ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় বিক্ষোভ শুরু করেছেন ভোটকর্মীরা। বরাদ্দ অর্থ কোথায় যাচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্নও তুলছেন তাঁরা।
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন দোরগোড়ায়। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলায় ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে গেছে, যা নিয়েই বিতর্কের সূত্রপাত। কোনো কোনো জেলার ভোটকর্মীদের অভিযোগ, দীর্ঘ ছয়-সাত ঘন্টার ট্রেনিংয়ে চা-বিস্কুট ছাড়া কিছুই মেলেনি। যেমন, পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলির একাধিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে কেবল চা-বিস্কুটের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আবার পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের বেশ কিছু কেন্দ্রে চা-ব্রেকফাস্টের পাশাপাশি লাঞ্চে ছিল জিরা রাইস, চিকেন বা পনির।
ভোটকর্মীদের প্রশ্ন, একই নির্বাচন কমিশনের অধীনে একই বিষয়ে ট্রেনিংয়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন চিত্র কেন? জনপ্রতি যেখানে ১৫০ টাকা বরাদ্দ সেখানে কেবল চা-বিস্কুট কেন? অর্থ কোথায় যাচ্ছে? এই অভিযোগের কথা স্বীকার করে নিয়েছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনের দফতর। দফতর থেকে জানানো হয়েছে, সর্বত্র যাতে অভিন্ন ও ন্যূনতম টিফিনের ব্যবস্থা করা হয়, সে জন্য শীঘ্রই বিবৃতি জারি করা হবে।
ভোটকর্মীদের আরও অভিযোগ, ভোটের আগে দু'দফার ট্রেনিং এবং ভোটের আগের দিন সকাল থেকে ভোটের দিন রাত পর্যন্ত কাজ করার জন্য যে সাম্মানিক বরাদ্দ করা হয়, তা সম্মানজনক নয়। ভাতা ও ফুড অ্যালাউন্সের জন্য ২০১৪ সালের যে নির্দেশিকা রয়েছে, তাও সঠিকভাবে কার্যকর করা হচ্ছে না।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।