আজ রাজ্যজুড়ে প্রাথমিক শিক্ষক বাছাইয়ের পরীক্ষা। প্রায় আড়াই লক্ষ প্রার্থী পরীক্ষা দেবেন। দুপুর ১টা থেকে শুরু হবে পরীক্ষা। শেষ হবে দুপুর সাড়ে তিনটের সময়। ২০১৭ সালের ১২ মে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যাঁরা আবেদন করেছিলেন একমাত্র তাঁরাই এই পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন।
করোনা পরিস্থিতিতে পরীক্ষা হওয়ায় সমস্ত পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে যাবতীয় সুরক্ষা বিধির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার আগে পরীক্ষার্থীদের থার্মাল স্ক্রিনিং হবে। কোনো প্রার্থীর শরীরের তাপমাত্রা বেশি হলে তিনি পৃথক রুমে পরীক্ষা দিতে পারবেন। প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পরিমাণে স্যানিটাইজার থাকবে। অন্য সময় একটি পরীক্ষা কেন্দ্রে যতজন পরীক্ষার্থী থাকতেন, বর্তমান পরিস্থিতির কারণে সেই সংখ্যাটা অর্ধেক করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পর্ষদ।
এছাড়াও পরীক্ষার্থীদের জন্য একাধিক নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে পর্ষদ। সেগুলো হলো -
১) প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে দুপুর ১২টার মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। সাথে কেবল অ্যাডমিট কার্ড থাকবে এবং মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।
২) ব্যাগ নিয়ে কেউ পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না।
৩) কেবলমাত্র কালো কালির বল পেন ব্যবহার করতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা।
৪) মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর বা কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক গ্যাজেটস নিয়ে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে পারবেন না পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষা কেন্দ্রে কোনো পরীক্ষার্থীর কাছে কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক গ্যাজেটস পাওয়া গেলে তাঁর পরীক্ষা বাতিল করা হবে।
৫) ১২ টা থেকে সাড়ে তিনটে পর্যন্ত পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরাও নিজেদের মোবাইল ফোন বন্ধ রাখবেন।
অপরদিকে, নন-ইন্টারকলিং কাজের জন্য আজকের দিনেই নোয়াপাড়ায় বন্ধ থাকছে মেট্রো পরিষেবা। অর্থাৎ নোয়াপাড়া থেকে নোয়াপাড়াগামী কোনো মেট্রো চলবে না। এর জেরে সমস্যায় পড়েছেন বহু টেট পরীক্ষার্থী। ঘুরপথে পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে হচ্ছে তাঁদের। তবে কবি সুভাষ এবং দমদমের মধ্যে মেট্রো পরিষেবা স্বাভাবিক রয়েছে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।