আর ২০ হাজার নয়, এখন ভাঙড়ে আবাস যোজনায় ঘর পেতে হলে দিতে হবে ৫০ হাজার টাকা কাটমানি!

ভাঙড়ের প্রাণগঞ্জ এলাকার ঘটনা। অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় যাঁরা ঘর পাবেন, সেই তালিকা ধরে সবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে ৫০ হাজার টাকা করে কাটমানি চাওয়া হচ্ছে অগ্রিম।
ছবি- প্রতীকী
ছবি- প্রতীকী

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর পেতে গেলে দিতে হবে ৫০ হাজার টাকা। এই কাটমানির পরিমাণ আগে ছিল ২০ হাজার টাকা। এখন সেটাই বেড়ে হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। আর এই কাটমানি দিতে হবে স্থানীয় তৃণমূল নেতাকে। ভাঙড়ের প্রাণগঞ্জ এলাকার ঘটনা। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় যাঁরা ঘর পাবেন, সেই তালিকা ধরে সবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে ৫০ হাজার টাকা করে কাটমানি চাওয়া হচ্ছে অগ্রিম। আর সেই টাকা আদায়ে কখনও হুমকি, কখনও মারধর, এমনকী বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভাঙচুর চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা পাওয়া যায়। তা থেকে ৫০হাজার টাকা কাটমানি দিলেই মেলে ঘর।

ভাঙড় এক নম্বর ব্লকের প্রাণগঞ্জ অঞ্চলের রাজাপুরে গ্রামবাসীদের বক্তব্য, গত বছর তাদের গ্রামের ৮০টি ঘরের টাকা এসেছিল। তখন কাটমানি ছিল প্রতি ঘর বাবদ কুড়ি হাজার টাকা। এবার একশোটি ঘরের টাকা বরাদ্দ হয়েছে। তাদের দিতে হবে ৫০ হাজার টাকা। অভিযোগ, ওই গ্রামের তৃণমূল নেতা সাদ্দাম মোল্লা ও তার বাহিনী বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে।

রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা পেশায় রিকশাচালক আশরাফ আলি ও তার পরিবারকে সাদ্দাম মোল্লা মারধর করে। এমনকী তার রিকশাটাও ভেঙে দেয়। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, আশরাফ আলি নিজেও তৃণমূল সমর্থক বলেই জানান। ৭ হাজার টাকা দিয়েছেন। কিন্তু বাকি টাকা না দেওয়া তাঁর ওপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ।

স্থানীয়রা জানান, গত বছর যারা ঘর পেয়েছিলেন, তাঁদের যাঁরা কাটমানির টাকা দিয়েছিলেন, তাঁদেরই কেবল ঘরের ছবি তোলা হয়েছিল আবাস বন্ধুকে দিয়ে। সেই আবাস বন্ধুকে আবার এক হাজার টাকা করে কাটমানি দিতে হয়েছিল। যাঁরা কাটমানির টাকা দেননি, তাঁরা আবাস যোজনার পরবর্তী টাকা পাননি।

দলের যুব অঞ্চল সভাপতি আহসান মোল্লা ও যুব ব্লক সভাপতি বাদল মোল্লাকে এই টাকা দিতে হয় বলে সাদ্দাম মোল্লা জানিয়েছে। এই অভিযোগ প্রসঙ্গে সিপিআইএম নেতা তুষার ঘোষ বলেন, সরকারি ঘরে হরির লুট চলছে। তিনি জানান, রাজাপুর গ্রামের ৮০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন নওশাদ সিদ্দিকি। তৃণমূলের এই তোলাবাজি, কাটমানির প্রতিবাদে পথে নামবে সংযুক্ত মোর্চা।

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in