উনিশের লোকসভা ভোটের নিরিখে জয় পাওয়ার কথা ছিল বিজেপির। কিন্তু একুশের বিধানসভায় সম্পূর্ণ ভরাডুবি হয়েছে। জলপাইগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী ডাক্তার প্রদীপ কুমার বর্মার কাছে মাত্র ৯৪১ ভোটে হেরে গিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী অ্যাডভোকেট সৌজিত সিনহা। তাঁর অভিযোগ, দলেরই একটা অংশ টাকার বিনিময়ে তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। প্রচারে দলীয় নেতৃত্বকেও পাশে পায়নি।
গত লোকসভা নির্বাচনে যে ১৮টি আসনে বিজেপি জিতেছিল, তার একটা বড় অংশ ছিল উত্তরবঙ্গের আসন। দক্ষিণবঙ্গের তুলনায় উত্তরবঙ্গ ছিল বিজেপির শক্ত ঘাঁটি। তাই গেরুয়া শিবিরের ধারণার ছিল, উত্তরবঙ্গের আসনগুলিতে বেশি ব্যবধান ও বেশি সংখ্যক আসনে জয়লাভ হতে পারে। বিশেষ করে যে আসনগুলিতে ব্যবধান অনেক বেশি ছিল। এই বিধানসভা কেন্দ্রে ৪১ হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে ছিল বিজেপি। ফলে বিধানসভা ভোটেও সহজ জয়ের আশা করেছিল বিজেপি। কিন্তু রবিবার দেখা গেল, প্রায় জেতা আসনে হাজারেরও কম ভোটে বিজেপি প্রার্থী সুজিত সিনহা পরাজিত হয়েছেন।
এরপরই অন্তর্ঘাত করে তাঁকে হারানো হয়েছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন তিনি। প্রাপ্ত ভোটের হিসেব দেখিয়ে তাঁর অভিযোগ, এখানে এই ফলাফল একেবারেই অপ্রত্যাশিত। তাঁর এই অভিযোগকে একপ্রকার মেনে নিয়েছেন বিজেপি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামীও। তিনি জানিয়েছেন, কে বা কারা এই হারের জন্য দায়ী, তা চিহ্নিত করে জেলা থেকে রাজ্য স্তরে একটি রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে। তা খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাতেই বোঝা যাবে, অন্তর্ঘাত নাকি অন্য কিছু।
তাহলে কে করলেন? উঠে এসেছে জলপাইগুড়ি জেলার প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি দীপেন প্রামাণিকের নাম। সুজিত সিনহা প্রার্থী হওয়ায় ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। পরে রাজ্য নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে তা মিটেছে বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু আদতে যে তা হয়নি , তা ফলাফলেই প্রকাশ পেয়েছে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।