
বিশেষ কোনো অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি না হলে, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে সিপিআইএম নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস আসন সমঝোতা করে নির্বাচনে লড়াই করবে। দুই দলের নেতাদের পক্ষ থেকেই এই বিষয়ে স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার বীরভূমের সিউড়িতে কংগ্রেস এবং বামফ্রন্টের যৌথ সমাবেশে এই বোঝাপড়ার ভিত্তি স্থাপিত হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এই সভায় সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ছাড়াও বক্তব্য রাখবেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এছাড়াও আগামীকালের সভায় বক্তব্য রাখার কথা সিপিআইএম পলিটব্যুরো সদস্য রামচন্দ্র ডোম এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চ্যাটার্জির।
উল্লেখ্য, সিউড়ির এই মাঠেই কয়েকদিন আগে সভা করে গেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওই সভায় শাহ বলেছিলেন, বিজেপি যদি ২০২৪ সালে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৩৫টিতে জিততে পারে তবে ২০২৫ সালের আগেই রাজ্যের ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতাচ্যুত হতে পারে।
মহম্মদ সেলিমের মতে, তৃণমূল কংগ্রেসের দুঃশাসন এবং বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে যদি সর্বস্তরের মানুষ একত্রিত হয়, তবে বামফ্রন্ট বা কংগ্রেসের নেতৃত্ব সেই ঐক্যের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।
তিনি আরও বলেন, "পঞ্চায়েত নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ ভোটের দাবিতে পশ্চিমবঙ্গের জনগণ ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে এবং সেইসাথে দুর্নীতি ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছে। আমরা একই সঙ্গে দুর্নীতি ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে লড়াই করব।"
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর মতে, ২০১৮ সালের শেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে, বিরোধী দলগুলির সব আসনে প্রার্থী দেওয়ার মতো পরিস্থিতি ছিল না। "প্রতিটি নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু বাস্তবে, সমস্ত নির্বাচনে রাজ্যের শাসক দলের ব্যাপক হিংসার কারণে সঠিকভাবে ভোটপর্ব সম্পন্ন হয় না। এবার আমরা জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে সেই হিংসার বিরুদ্ধে লড়াই করার চেষ্টা করব।"
আসন ভাগাভাগির বিষয়ে, বামফ্রন্ট এবং সিপিআই-এম দুই দলেরই রাজ্য নেতৃত্ব শীর্ষস্থান থেকে কোনও নির্দেশ কার্যকর করতে চায় না। এর বদলে জেলায় জেলায় শক্তির নিরিখে জেলা নেতৃত্ব আলোচনা করে আসন চূড়ান্ত করবে।
GOOGLE NEWS-এ আমাদের ফলো করুন