কেন্দ্রীয় সরকার পাটজাত পণ্যের দামবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করলেও ফের বেসুর ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। বেশ কয়েকদিন ধরেই তিনি নিজের দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন। তাহলে কি আবার তাঁর পুরনো দলে ফিরতে চলেছেন অর্জুন? রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা তুঙ্গে।
পাটজাত পণ্যের দামবৃদ্ধিতে বারবার কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করছিলেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ। বস্ত্রমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এর বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন তিনি। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয় যে কয়েকদিন আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্য সফরে আসলে, তখন অন্যপ্রান্তে পাটকলের শ্রমিকদের নিয়ে তিনি বিক্ষোভ দেখান।
তাঁকে শান্ত করতে পদক্ষেপ নেয় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। অর্জুন সিং সংবাদমাধ্যমে জানান, তিনি জে পি নাড্ডাকে বলেছেন সংগঠন থেকে রোজ ১৫ থেকে ২০ জন করে বেরিয়ে যাচ্ছে। ১০-১৫ দিনের মধ্যে এর একটা ব্যবস্থা করা দরকার। নিজের পদ সমর্কেও বলেন যে, পদ থাকলেও কোনো কাজ করতে পারেন না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিজেপিতে এসেও অনেকে কাজ করতে পারছেন না। তারা কার্যত বাধ্য হচ্ছে পদত্যাগ করতে। "রাজনীতিতে কোনো ফাইনাল বলে কিছু হয় না" - এমন কথাও তাঁর মুখে শোনা যায়।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো, কিছুদিন আগেই সংবাদমাধ্যমের সামনে রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে অর্জুন সিং বলেন, "ঢাল নেই তরোয়াল নেই নিধিরাম সরদার। বিজেপিতে যাঁদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁদের অনেকেই কাজের না। বাংলার রাজনীতির সাথে অন্য রাজ্যের রাজনীতি গুলিয়ে ফেললে চলবে না। সঠিক লোককে সঠিক দায়িত্ব না দিলে এই রাজ্যে ক্ষমতায় আসা যাবেনা। এখন বিজেপি যাঁদের দায়িত্ব দেয় তাঁরা দলের সাথে বেইমানি করে। বিজেপির কিছু লোক দলের ভালো চায় না”।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগেও গোটা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রামনবমীর সুবিশাল মিছিলে একত্রে দেখা গিয়েছিল অর্জুন সিং ও তৃণমূল নেতাকে। তারপর পুনরায় কাঁকিনাড়ায় মন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে অর্জুন, সোমনাথ,পবনকে একত্রে দেখা যায়। তবে তাঁর যুক্তি, যেহেতু মিছিল গুলো ধর্মীয় মিছিল তাই সেখানে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। এগুলি কী কাকতালীয় নাকি এর মধ্যে কোনো ইঙ্গিত দিতে চাইছেন অর্জুন সিং? তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।