যে অধিকারী পরিবারের দৌলতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে পরিচিত হয়েছিল, সেই অধিকারী পরিবার আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নেই। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একাই নন্দীগ্রামে যেতে হচ্ছে। এই কথা অস্বীকার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি মনে করে আমার জন্য কেউ কিছু করেনি আমি সব একাই করেছি সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঔদ্ধত্য অহমিকার পরিচয়। সোমবার বহরমপুর জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের বাম কংগ্রেস জোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জোট নিয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এটা একটা বড় পক্রিয়া, তাই জোট নিয়ে আলাপ আলোচনা চলছে। তাছাড়া যেখানে প্রয়োজন সেখানে আমরা একসাথে কর্মসূচী করছি। তাছাড়াও কংগ্রেস ও বাম আলাদা কর্মসূচী করছে।
এদিন তৃণমূল বিধায়ক ও তৃণমূল নেতারা করোনা টিকা নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গে যারা বিধায়ক হয়, তারা মানুষের স্বার্থের আগে নিজেদের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয়। তাই যে করোনা ভ্যাকসিন ফ্রন্ট লাইন হেলথ ওয়ারর্কারদের জন্য, ভারতবর্ষের নিরাপত্তা বাহিনীদের জন্য এবং বয়স্ক মানুষের জন্য সেই সুযোগ বিধায়ক ও নেতারা নিচ্ছেন৷ এই থেকেই প্রমাণিত হয়, পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে সাধারণ মানুষের অগ্রাধিকার নেই, নেতাদের অগ্রাধিকার আছে।
কৃষি আইন বিরোধী আইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন - সুপ্রীম কোর্টের হস্তক্ষেপে যদি কৃষি আইন বাতিল হয় খুব ভালো। সুপ্রীম কোর্ট চেষ্টা করছে সমাধান করার। যদি সুপ্রীম কোর্টের নির্দেশে এই কাজ হয় তা হলে সেটা খুব ভালো। তবে কৃষক আন্দোলনের স্বার্থে এই আইন যাতে বাতিল করা হল সেটা দেখা উচিত।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।