তৃণমূল কংগ্রেসের ১৯ জন নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তি কীভাবে বেড়েছে, তা খতিয়ে দেখার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। সোমবার, সেই মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, তারা এ ব্যাপারে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে (ED) যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অর্থাৎ এই মামলায় এখন ইডিও একটা পক্ষ।
জানা যাচ্ছে, ১৯ জন নেতা-মন্ত্রীদের তালিকায় রয়েছেন- বর্তমান সরকারের ৭ জন মন্ত্রীও। যারা হলেন- ১) রাজ্যের পৌর-নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ও কলকাতার কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, ২) শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, ৩) বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, ৪) আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, ৫) সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়, ৬) দুর্যোগ মোকাবিলা মন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খান এবং ৭) পঞ্চায়েত বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শিউলি সাহা।
এছাড়া, তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার বিমান ব্যানার্জি এবং ব্যারাকপুরের লোকসভা সদস্য অর্জুন সিংয়ের নামও রয়েছে, যিনি সম্প্রতি বিজেপি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন।
এই তালিকায় প্রয়াত দুই তৃণমূল মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও সাধন পাণ্ডের নামও রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে গৌতম দেব, স্বর্ণকমল সাহা ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। তাছাড়া প্রাক্তন দুই মন্ত্রী অমিত মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায়, আব্দুর রেজ্জাক মোল্লার নামও তালিকায় রয়েছে।
রাজ্যের নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে ২০১৭ সালে কলকাতা হাইকোর্টে প্রথম জনস্বার্থ মামলা হয়। মামলাকারী হন বিপ্লব কুমার চৌধুরী। সেই মামলার সূত্রেই আদালতে নতুন করে আর্জি জানান আইনজীবী শামিম।
হাই কোর্টে ১৯ জন নেতা-মন্ত্রীর একটি তালিকা-সহ তাঁদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসেব দিয়ে বলেন শামিম বলেন, ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত এই নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তি বিপুল পরিমাণে বেড়েছে।
এর পরেই তিনি আর্জি জানান, পাঁচ বছরে এঁদের সম্পত্তি কী ভাবে এত বাড়ল, তা খতিয়ে দেখুক ইডি। এর প্রেক্ষিতে ওই মামলায় ইডি-কে পার্টি করার নির্দেশ দেয় হাই কোর্টের বেঞ্চ।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।