
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের তৃণমূল বিধায়ক তথা অপসারিত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে তলব করল ইডি। গত সোমবারও ইডি দফতরে তিনি হাজিরা দিয়েছিলেন। আগামী সপ্তাহে ফের তাঁকে তলব করা হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে আগেই নাম জড়িয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের। এর পরেই তাঁকে পদ থেকে অপসারণ করা হয়। সেই মামলায় এর আগেই তাঁকে সিবিআই তলব করেছিল। কিন্তু সেবার হাজিরা এড়িয়ে যান মানিকবাবু।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত ২৭ জুলাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর মানিক ভট্টাচার্যকে তলব করে ইডি। আদৌ তিনি হাজিরা দেবেন কি না, তা নিয়ে একটা সংশয় ছিলই। তবে দেখা যায় নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সিজিও কম্পলেক্সে পৌঁছে যান মানিক ভট্টাচার্য।
এরপর গত সোমবারও তদন্তকারীদের মুখোমুখি হন মানিক ভট্টাচার্য। প্রায় ৪ ঘণ্টা জেরা করা হয় তাঁকে। এবার ফের মানিকবাবুকে তলব করল ইডি। আগামী সোমবার তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে বলেই খবর। সূত্র অনুসারে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁকে সমস্ত নথি সঙ্গে রাখতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২০ জুন আদালত জানায়, ২০১৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছিল। পর্ষদ সেই নথি পেশ করেনি এবং আদালতকে ভুল পথে পরিচালিত করেছে। ২০১৭-র বদলে ২০২২-এর নথি জমা দেওয়া হয়েছে। যার সম্পূর্ণ দায় পর্ষদ সভাপতির। এদিন আদালতে যে নথি দেওয়া হয় তাতে ২৭৮৭ জন আবেদনকারীর একজনেরও পুনর্মূল্যায়নের জন্য দাখিল করা আবেদনপত্র আদালতে পেশ করা হয়নি। এছাড়াও ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর ২৭৩ জন প্রার্থীকে অতিরিক্ত ১ নম্বর দেওয়ার সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তোলে আদালত।
ওইদিন আদালতের নির্দেশের পর সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন, “মানিক ভট্টাচার্যের আমলের টেট-নিয়োগ দুর্নীতি সবারই জানা। এটা তো আর লুকোছাপা নেই। এতদিন তিনি পর্ষদের সভাপতি রয়েছেন সেটাই আশ্চর্যের। অপসারণ করে লাভ হবে না। কোমরে দড়ি পরিয়ে এঁদের হাজতে ঢোকাতে হবে।”
GOOGLE NEWS-এ আমাদের ফলো করুন