বাম ছাত্রযুবদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, পুলিশের বিরুদ্ধে কটুক্তি করার অভিযোগ
ফের বাম ছাত্রযুবদের ওপর কটুক্তি করার অভিযোগ উঠলো পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে। সোমবার বিকেলে এজেসি বোস রোডে দীনেশ মজুমদার ভবন সংলগ্ন অঞ্চলে নিহত যুবকর্মী মইদুল মিদ্যার শেষ যাত্রার জন্য অপেক্ষারত ছাত্র যুবদের উদ্দেশ্যে পুলিশ কটুক্তি করে বলে অভিযোগ। এর পরেই ছাত্র-যুবদের একাংশ পুলিশকে তাড়া করে। ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছে এক পুলিশকর্মীকে ক্ষুব্ধ ছাত্র যুবদের হাত থেকে রক্ষা করে নিগ্রহের হাত থেকে বাঁচান এসএফআই রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য। মুহূর্তের মধ্যে ওই চত্বর জুড়ে অবরোধ শুরু হয়ে যায়।
সৃজন ভট্টাচার্য ঘটনা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের জানান – আমি শুনেছি পুলিশ গালিগালাজ করেছে। মইদুলের মরদেহ নিয়ে উল্টোপাল্টা কথা বলেছে। পাসিং রিমার্ক করেছে। তার জেরেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে সুজন চক্রবর্তী জানান – একজন কমরেড মারা গেছেন। চারদিক থেকে ছাত্র যুবরা জড়ো হয়েছেন। তাদের মধ্যে উষ্মা থাকা স্বাভাবিক এবং তা সঙ্গত। প্রশাসন কীভাবে সেটা নিয়ন্ত্রণ করবেন তা প্রশাসনের বিষয়। বরং আমাদের ছেলেরা প্রতিবাদ যেমন করে তেমনই নিয়ন্ত্রণের মনোভাব নিয়ে চলে। আজও তা প্রমাণ হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১১ ফেব্রুয়ারি বাম ছাত্র যুবদের নবান্ন অভিযানকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ধর্মতলা অঞ্চল। পুলিশের বিরুদ্ধে বিনা প্ররোচনায় লাঠি চার্জ, কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়া, জলকামান ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। যে ঘটনায় বহু ছাত্র যুব আহত হন এবং ঘটনার দিন গুরুতর আহত মইদুল মিদ্দা নামক এক ডিওয়াইএফআই কর্মীর আজ সকালে মৃত্যু ঘটে। এখনও পর্যন্ত পূর্ব মেদিনীপুরের বাহারপোতা গ্রামের দীপক পাঁজা নামে এক ব্যক্তি নিখোঁজ।