নারদ কান্ডে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেলেন চার নেতা মন্ত্রী। রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্র এবং প্রাক্তন তৃণমূল নেতা তথা কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় এদিন জামিন পান। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এই অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেছে। গত ১৭ই মে এঁদের গ্রেপ্তার করেছিলো সিবিআই। পরে ১৯ মে আদালতের নির্দেশে বিচারবিভাগীয় হেফাজতের পরিবর্তে এঁদের গৃহবন্দী রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল, বিচারপতি আই পি মুখার্জি, বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন, বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি অরিজিত মুখার্জির বেঞ্চ শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ৩১ মে বেলা ১২টায় ফের এই মামলার শুনানি হবে।
পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ তাঁদের নির্দেশে জানিয়েছেন – এই চার নেতা নারদ মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে এখন কোনো প্রেস বিবৃতি দিতে পারবেন না অথবা কোনো সংবাদমাধ্যমে কোনো আলোচনা বা বক্তব্য রাখতে পারবেন না।
এদিন সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা সিবিআই-এর পক্ষে চার নেতার জামিনের বিরোধিতা করে বলেন – এঁরা যথেষ্ট প্রভাবশালী এবং এঁরা বিচারাধীন মামলাকে প্রভাবিত করতে পারেন।
এর উত্তরে বেঞ্চ প্রশ্ন করেন – এই চার নেতাকে গ্রেপ্তার করা যদি এতই গুরুত্বপূর্ণ তাহলে কেন গত ৪ বছরে এঁদের গ্রেপ্তার করা হয়নি? মিস্টার সলিসিটার জেনারেল – আমাদেরও একটা পর্যবেক্ষণ আছে। এই তদন্ত শুরু হয়েছিলো ২০১৭ সালে। তদন্তের সময় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাঁরা আগে যেমন প্রভাবশালী ছিলেন এখনও তেমনই প্রভাবশালী আছেন। তাহলে এখন গ্রেপ্তার কেন?
এদিন আদালতে সিবিআই-এর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা। অন্যদিকে তৃণমূল নেতা মন্ত্রীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি, সিদ্ধার্থ লুথরা, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।